সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
নদীয়া জেলা পরিষদের মেন্টর তৃণমূলের বাণীকুমার রায় বলেন, মানুষের রায়কে অবশ্যই মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। রাজ্যে দল ভালো ফল করলেও জেলার দক্ষিণাংশে আমাদের পরাজয় হয়েছে। তবে এই হারের কারণ কী, তা পর্যালোচনার পর পরিষ্কার হবে। তবে নিশ্চয়ই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারিনি। সাংগঠনিক দূর্বলতাও হারের একটি কারণ।
উল্লেখ্য, জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রটি রয়েছে জেলার উত্তরাংশে। অপরদিকে রানাঘাট কেন্দ্রে রয়েছে দক্ষিণে। গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে থাকলেও, রানাঘাট কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছিল। বিজেপি লোকসভার জয়কে সামনে রেখে এবার বিধানসভা জয়ের লক্ষ্য নিয়েছিল। রানাঘাট লোকসভার অধীনে থাকা ন’টি বিধানসভার মধ্যে কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট উত্তর পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম, শান্তিপুর, চাকদহ, কল্যাণী, হরিণঘাটায় নিজেদের জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি। যদিও নবদ্বীপ কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে জোড়াফুল শিবির।
অন্যদিকে কৃষ্ণনগর লোকসভার অধীনে থাকা কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রটি এবার তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। অর্থাৎ কৃষ্ণনগর থেকে হরিণঘাটা পর্যন্ত সর্বত্রই এবার পদ্মফুল ফুটেছে। শাসকদলের নেতাদের দাবি, জেলায় এমন ফল কখনওই প্রত্যাশিত ছিল না। রানাঘাটের প্রাক্তন এমপি তথা এবারে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক তাপস মণ্ডল বলেন, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত মোট ১৩টি আসনে আমাদের হার হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই হার আমাদের সামনে বড় প্রশ্ন চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। বুধভিত্তিক সমীক্ষা করে হারের কারণ জানতে হবে। তার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা বিধানসভাগুলিতে যে ব্যবধানে বিজেপি জিতেছিল সেই ব্যবধান অর্ধেকে নামিয়ে আনা গিয়েছে। তবে এই পরাজয়ের পিছনে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অন্যদিকে রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী সমীরকুমার পোদ্দার বলেন, ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে এই বিধানসভায় ভোট হয়েছে।
তবে উমপুন দুর্নীতি কিংবা গত পঞ্চায়েত ভোটের প্রভাব কোনওভাবেই এবারের নির্বাচনে পড়েনি। কারণ সার্বিকভাবে রাজ্যে ভালো ফল করেছে তৃণমূল।
জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম, শান্তিপুর ও কালীগঞ্জ বিধানসভা বাম-কংগ্রেসের জোটের দখলে ছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে জেলায় একটিও কেন্দ্রে জয় ধরে রাখতে পারেনি সংযুক্ত মোর্চা জোট। ফলে তাদের ভোটব্যাঙ্ক সম্পূর্ণটাই বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে।
যে কারণে, নদীয়ায় অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ জেলা সংগঠনের এক নেতা বলেন, কয়েকটি আসনে আমাদের জয় নিশ্চিত থাকলেও, ন’টি আসনেই জয় হবে, এটা ভাবিনি। অবশ্যই সিপিএমের ভোট আমাদের দিকে এসেছে। (ফাইল চিত্র)