সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
বিজেপি প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূল প্রার্থী বর্ণালী দে-কে ১৬,৫১৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। অন্যদিকে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের জোটের সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস ১৭ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী আবিররঞ্জন বিশ্বাসকে পরাজিত করেছিলেন। এবারও জোটের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছিলেন রমা দেবী। কিন্তু তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৫,১২৪টি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, পাঁচ বছর আগে এই কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থী এক লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। অথচ এবারে সেই ভোট কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ হাজারে। অর্থাৎ প্রায় ৮৫ হাজার ভোট হাতছাড়া হয়েছে সিপিএম তথা সংযুক্ত মোর্চার। এই ভোট অধিকাংশই বিজেপির ঝুলি ভর্তি করেছে। সেই ভোটের দৌলতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মুকুটমণি। এনিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী বলেন, জেলায় ফল ভালো হবে। এটা আমরা আগেই আশা করেছিলাম। তবে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে যে ব্যবধানে জয়ী হয়েছি, তা কখনওই আশা করিনি। জয়ের ব্যবধান আরও বেশি হওয়ার কথা ছিল। সিপিএমের ভোট বিজেপিতে অনেকটাই এসেছে। সেই সঙ্গে আমাদেরও কিছু ভোট হাতছাড়া হয়েছে।
যদিও সিপিএম প্রার্থী ভোটব্যাঙ্ক কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে সংবাদমাধ্যমকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, গোটা সমাজে মানুষের অর্থনীতির উপর যে আক্রমণ, তা আড়ালের চেষ্টা করেছে সংবাদ মাধ্যম। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বিজেপি শক্তি রয়েছে। এটা সংবাদ মাধ্যমই প্রতিষ্ঠা করেছে। গোটা সংবাদ মাধ্যম মানুষকে তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বাইরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তবে বামেদের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে, এটা বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। অথচ দু’বছর বাদে বিধানসভা নির্বাচনের সেই ব্যবধান হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার। পাশাপাশি ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রায় ৮৭ হাজার ভোট পেয়েছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সেই ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষের বেশি। ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে ভোট পোলিং হয়েছিল ৮৫ শতাংশ। এবারও ভোট পোলিং হয়েছে ৮৪.২৭ শতাংশ।