সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
বীরভূমে বিজেপির এমন হতাশাজনক ফলের কারণ খুঁজতে ব্যস্ত পরাজিত প্রার্থী ও তাঁদের অনুগামীরা। দলের অন্দরে বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও এনিয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। তাঁরা বলছেন, আদি বিজেপি নেতা-কর্মীদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আদৌ ভোটে জেতা সম্ভব নয়। আদি বিজেপির ভূমিকাকে অস্বীকার করাটাই দলের জন্য কাল হল।
বীরভূমের ১১টি বিধানসভার অধিকাংশগুলিতেই বিজেপির আদি নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে তাঁদের উপর অপছন্দের প্রার্থীকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে ভোটের আগেই অনেকে গর্জে উঠেছিলেন। ক্ষোভ, বিক্ষোভ, এমনকী রাস্তা অবরোধও হয়েছে। আদি কর্মীদের দাবি, বীরভূমের দুধকুমার মণ্ডল, অর্জুন সাহা, দিলীপ ঘোষ, কালো সোনা মণ্ডলরা বুক চিতিয়ে লড়াই করে লোকসভায় বিজেপিকে ভাল ফলের জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমের ১১টি আসনের মধ্যে প্রায় ছ’-সাতটিতে বিজেপিকে এক নম্বরে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। দেড় বছর পর সেগুলিতেও গো হারা হারল বিজেপি। হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা এখন বুঝতে পারছেন অভিজ্ঞদের গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যই এই বিপর্যয় নেমে এসেছে।
জেলার একমাত্র দুবরাজপুরে জয় পেয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অনুপ সাহা ৯৮হাজার ৮৩টি ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রত সাহাকে তিনি মাত্র তিন হাজার ৮৬৩টি ভোটে হারিয়েছেন। এখানে ছ’বারের সিপিএম বিধায়ক বিজয় বাগদি এবারও প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি মাত্র ছ’হাজার ১৪টি ভোট পেয়েছেন। অন্য আসনগুলির মতো এখানেও প্রচারে প্রার্থীদের সঙ্গে আদি বিজেপি কর্মীদের দেখা যায়নি।
সিউড়ি ও সাঁইথিয়ায় বিজেপির প্রার্থী হওয়ার দাবিদার ছিলেন দলের একাধিক আদি নেতা। দীর্ঘদিন বিজেপি করার সুবাদে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমথর্কদের মধ্যে তাঁদের যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও রয়েছে। কিন্তু এই দু’টি কেন্দ্রেই তাঁরা হতাশ হয়েছেন। উভয় কেন্দ্রের কর্মীদের দাবি, প্রার্থী ঘোষণাতেই একপ্রকার হেরে গিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বীরভূমে। সেই কারণেই এমন হতাশাজনক রেজাল্ট বলে দাবি দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের।
এপ্রসঙ্গে দলের আদি বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল বলেন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও নজর দেওয়া দরকার ছিল। তবুও সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলেন। দলের পুরনো নেতা-কর্মীরা যতটা সম্ভব প্রার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। তবে কোথাও একটা ভুল অবশ্যই ছিল। না হলে লোকসভা ভোটের পর এতও খারাপ ফল হবেই বা কেন? আমরা সেটা খতিয়ে দেখছি।