সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই তিনি বাঁকুড়ায় চলে আসেন। স্ট্রংরুম, সেফ হোম ঘুরে শনিবার বাঁকুড়ার বিভিন্ন মন্দিরে প্রণাম করেন অভিনেত্রী। রবিবার সকাল সকাল তিনি সদলবলে চলে যান বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রে। সেখানে তিনি সারাক্ষণ নজরদারি চালিয়ে গিয়েছেন। প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি রাউন্ডে সায়ন্তিকা কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু, নবম রাউন্ড থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করেন। পরে ফের অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান সায়ন্তিকা। টানটান লড়াই চলতে থাকে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। সায়ন্তিকার ভোট গণনার দায়িত্বে ছিলেন তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ডাঃ আবির বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করা পোস্টাল ব্যালটের কিছু ভোটে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিকের সই থাকলেও পদের নাম উল্লেখ ছিল না। বিজেপির আপত্তিতে নির্বাচন কমিশন সেগুলি গণনার আওতায় আনেনি। তার ফলে অনেক ভোট বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেগুলিতে আমাদেরই সমর্থনে ছাপ দেওয়া ছিল। তবে, বিজেপির নীলাদ্রিবাবু বলেন, আরও বেশি ব্যবধানে জিততাম। কারচুপি হয়েছে।
বাঁকুড়া কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল জিততে পারেনি। লোকসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে পিছিয়েছিল তৃণমূল। তাই সায়ন্তিকার কাছে এই লড়াইটা এমনিতেই বেশ কঠিন ছিল। গোষ্ঠী কোন্দল সায়ন্তিকার মসৃণ জয়ের পথের কাঁটা হয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি। আবিরবাবু বলেন, সায়ন্তিকা এই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। খুব পরিশ্রমও করেছিলেন। কিন্তু, দলে থেকেও অনেকে অন্তর্ঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে। বাঁকুড়া শহরের ফল আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। বেশ কিছু ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছি। তবে, পঞ্চায়েত এলাকায় ভালো সমর্থন পাওয়া গিয়েছে। সায়ন্তিকা রবিবার রাতে বলেন, ফল খুব ভালো হয়েছে। বাঁকুড়ায় গত লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে পিছিয়েছিল দল। সেখানে এবার মাত্র ১৪০০ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে।