সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলার মোট ন’টি আসনের মধ্যে মানবাজার ছাড়া সবকটি আসনেই ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মানবাজারে নিজের গড় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন সন্ধ্যারানি টুডু। এবার মানবাজারের পাশাপাশি বাঘমুণ্ডি ও বান্দোয়ান বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। পুরুলিয়া জেলার মোট ন’টি আসনের মধ্যে যে তিনটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সবক’টিতেই বিজেপির থেকে ভোটের ব্যবধান ১০ হাজারের বেশি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালে প্রথমবার তৃণমূলের টিকিটে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য হন সন্ধ্যারানি টুডু। তারপর ২০১১ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে জয়ী হন। ২০১৬ নির্বাচনে ফের লড়াই করে মার্জিন বাড়ান। প্রায় ৮ হাজার ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। এবারের নির্বাচনেও দল পুনরায় তাঁকে প্রার্থী করে। এবারও দুর্গ অটুট রেখেছেন তিনি।
বিজেপি প্রার্থী গৌরীসিং সর্দারকে ১৫ হাজার ৫১৬ ভোটে পরাজিত করেন সন্ধ্যারানিদেবী। তিনি বলেন, এনিয়ে তিনবার মানবাজারের মানুষের আশীর্বাদ পেলাম। সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। দিদির নেতৃত্বে রাজ্য সরকার ঢেলে উন্নয়ন করেছে। আদিবাসীদেরও পাশে থাকতে পেরেছি। তার জেরেই এই হ্যাটট্রিক। এই জয় দিদির প্রতি মানবাজারের সর্বস্তরের মানুষের আস্থার জয়। সাধারণ মানুষের জয়।
তবে জেলায় তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বান্দোয়ানের রাজীব লোচন সোরেন। তিনি বিজেপি প্রার্থীর থেকে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে জেলাজুড়ে ধরাশায়ী হওয়ার পর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি আসনে জয়কে নিজেদের সাফল্য হিসেবেই দেখছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
বাঘমুণ্ডি আসনে ২০ বছরের কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত এবার পরাজিত হয়েছেন। তিনি তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছেন। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী সুশান্ত মাহাত। দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত আজসু প্রার্থী আশুতোষ মাহাত। এই প্রথম বাঘমুণ্ডি আসনটি তৃণমূল কংগ্রেস দখল করল।
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, গত লোকসভা আটটিতে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। এবার সেখানে তৃণমূল তিনটি আসনে ভালো ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। বলরামপুর আসনে মাত্র প্রায় ৪২৩টি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত পরাজিত হয়েছেন। বাকি আসনগুলিতেও গত লোকসভার চেয়ে ভালো ফল করেছে তৃণমূল।
গুরুপদবাবু আরও বলেন, জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠনকে অনেকটাই গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। যে কটি বিধানসভা এলাকায় খুব কম ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীরা হেরেছেন, সেখানে ফলাফল নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা করা হবে। ফাইল চিত্র