সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত গণনার কাজ চলেছে। তার জেরে জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র পেতে দেরি হয়। শেষ পর্যন্ত ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে তালডাংরা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী ভোট পেয়েছেন ৯২,০২৬। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী শ্যামল সরকার পেয়েছেন ৭৯,৬৪৯। অর্থাৎ, অরূপবাবু ১২,৩৭৭ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। রানিবাঁধ কেন্দ্রে জ্যোৎস্না মাণ্ডি ভোট পেয়েছেন ৯০,৯২৮। বিজেপির ক্ষুদিরাম টুডুর ঝুলিতে ভোট পড়েছে ৮৬,৯৮৯। এখানে জ্যোৎস্নাদেবী ৩৯৩৯ ভোটে জিতেছেন। রাইপুরের তৃণমূল প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু ১,০১,০৪৩ ভোট পেয়েছেন। এখানে বিজেপির সুধাংশু হাঁসদার প্রাপ্ত ভোট হল ৮১,৬৪৫। মৃত্যুঞ্জয়বাবু সর্বাধিক ১৯,৩৯৮ ভোটে জয়লাভ করেছেন।২০১১ সালে সারা রাজ্যে মমতা ঝড় বইলেও জঙ্গলমহলের তিনটি আসন ছিল বামেদের দখলেই। তিন কেন্দ্রেই সিপিএমের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনগুলির দখল নেয় তৃণমূল। কিন্তু, গত লোকসভা নির্বাচনে তিন কেন্দ্রে ঘাসফুল উপড়ে যায়। গেরুয়া শিবির এগিয়ে যায়। পায়ের তলায় মাটি কার্যত হারিয়ে গেলেও লড়াইয়ের ময়দান থেকে ছেড়ে যায়নি তৃণমূল। এবারের নির্বাচনে তার ফল শাসক দল পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তালডাংরায় দলবদলু বিজেপি প্রার্থী শ্যামল সরকারকে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপবাবু। সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থী রানিবাঁধ কেন্দ্রের দেবলীনা হেমব্রম ভোট পেয়েছেন ২০,০৫৭। এছাড়া তালডাংরাতেও দীর্ঘদিনের লড়াকু সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন পাত্র ভোট পেয়েছেন ২৩,১৮৯। রাইপুর কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা আরও ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে। সেখানে তাদের প্রাপ্ত ভোট ৬,৫৯৩। তৃণমূল শিবিরের দাবি, উন্নয়নেই বাজিমাত হয়েছে। মমতার নানা জনমুখী প্রকল্পে ভরসা রেখেছেন জঙ্গলমহলের মানুষ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, জঙ্গলমহলের মানুষ নীরবে মমতাকে সমর্থন করেছেন। কেন না, শান্ত মেজাজে ভোট হয়েছিল জঙ্গলমহলে। মহিলাদের ভোট দেওয়ার উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মতো। জঙ্গলমহলের তিন কেন্দ্রে মানুষের প্রত্যাশা আরও বাড়ল। তৃণমূল প্রার্থী অরূপবাবু সোমবার বলেন, সভাধিপতি থাকার সময় জঙ্গলমহলের তিন কেন্দ্র দখল নিয়েছিলাম। লোকসভা নির্বাচনের সময় দায়িত্বে ছিলাম না। এখন ফের জঙ্গলমহল আমাদের দখলে এসেছে। তাই আলাদা করে সব বুথে ঘুরে মানুষকে ধন্যবাদ জানাব। তৃণমূল প্রার্থীদের আশ্বাস, কৃষিনির্ভর জঙ্গলমহলে সেচের উন্নতি করে মানুষকে স্বাবলম্বী করা হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ করাও হবে লক্ষ্য।