সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের পোড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকান্ত পল্লি এলাকায় এক আশা কর্মী সহ পরপর কয়েকটি বাড়িতে ১২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বলেন, আক্রান্তদের বাড়িতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র থেকে বাজার-হাটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আতঙ্ক দূরে ঠেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং চলছে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন রানাঘাট-১ ব্লকে ৩৭ ও রানাঘাট-২ ব্লকে ৩৮ ও পুরসভা এলাকার ৩৫জন নিয়ে মোট ১১০জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এরপরে রয়েছে কৃষ্ণনগর, সেখানে এদিন ৬৫জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে পুরসভা এলাকার ৩৫জন রয়েছেন। শান্তিপুর পুরসভায় ১২জন আক্রান্ত হয়েছেন। শান্তিপুর গ্রামীণ এলাকায়ও ১২জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চাপড়া ব্লকে ১২, কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় তিনজন, হাঁসখালিতে ২০, কালীগঞ্জে একজন, কল্যাণী পুরসভায় ন’জন, করিমপুর-২ ব্লকে ন’জন, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে তিনজন, নবদ্বীপ শহর ও গ্রামীণ এলাকায় মোট চারজন, নাকাশিপাড়া ব্লকে ১৪, তেহট্ট-১ ব্লকে ১০ ও তেহট্ট-২ ব্লকে আটজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা। রাজ্যের নির্দেশমতো জেলায় তিনটি হাসপাতালে মোট ২০০বেডের কোভিড ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, যেভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে তাতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলিতে সাধারণ পরিষেবা চালু রাখার পাশাপাশি নতুন করে কোভিড ইউনিট চালু ও পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা ইতিমধ্যে কাটছাঁট করা হয়েছে। তেমনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ভ্যাকসিনের জন্য প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় করছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন মিলছে না বলে অভিযোগ।
এদিকে জেলায় বেসরকারিভাবে ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মিলছে না বলে অভিযোগ। অক্সিজেন থাকলেও কোভিড আক্রান্তদের অনেকে দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। এদিকে করোনার প্রভাব বাড়তে থাকায় পুলিস ও প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। জেলার বেশকিছু জায়গায় ধরপাকড়ও চলছে। করোনার প্রকোপ বাড়ায় বাজারে মাস্কের দামও বেড়ে গিয়েছে।