সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার ভোটের ফলাফল শুনে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকাই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর উপর লাঠি, রড, তলোয়ার নিয়ে আক্রমণ করে। তাঁদের বাঁচাতে যান গণেশ মালিক। সেই সময় বৃদ্ধ গণেশবাবুর উপর হামলা চালায় তারা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, গণনা চলাকালীন তৃণমূলের জয় মানতে পারছিল না বিজেপি। গণনার সময় রায়নায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত জেনেই এলাকায় জমায়েত হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। সেখানেই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ বাধে। এরপরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় গণেশ মালিক সহ পাঁচজনকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক সেখানেই গণেশ মালিকের মৃত্যু ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। রাতে ঘটনাস্থলে যায় রায়না থানার পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তৃণমূলের তরফে বিজেপির সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলার পুলিস সুপার অজিত কুমার সিং বলেন, ওই রাতে তৃণমূল কর্মীরা গ্রামে যাচ্ছিলেন। তখন বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই ঘটনায় বয়স্ক এক তৃণমূল কর্মীর মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে কেস হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শাসকদলের জয় মেনে নিতে না পেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। পুলিস আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।
রায়না-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বামদেব মণ্ডল বলেন, বিজেপি হারের পরও আমাদের উপর হামলা করছে। রবিবার রাতের ঘটনায় আমাদের পাঁচজন কর্মী জখম হয়েছে। একজন মারাও গিয়েছে। আমরা এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কর্মীদের বলেছি। ওরা গণ্ডগোল পাকাতে আসছে। এরপরও যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে মানুষই এর জবাব দেবেন। কাউকে কিন্তু আটকে রাখা যাবে না। এর প্রতিবাদ করবেন তাঁরা। ভোটে ওরা হেরে গিয়ে মানতে পারছে না বলেই এসব কাজ করছে।
রায়নার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শম্পা ধাড়া বলেন, মানুষ ভোটে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাতেও ওরা এলাকায় গণ্ডগোল পাকাতে চাইছে। দিদির নির্দেশমতো আমরা কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিজেপির বর্ধমান জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, বিজেপিকে ভোট দিয়েছে সন্দেহে নিজেদের মধ্যেই তৃণমূল মারপিট করেছে। আমাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়।