অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সোমবার রাঁচিতে বাস দুর্ঘটনার পর জখমদের রাইমস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেদিনই মৃত হাবিবুল মণ্ডল, বাবু শেখ সহ জখম সকলের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ১৬ জনের রিপোর্ট দেওয়া হয়। তারমধ্যে হাবিবুলের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। বাকিদের নেগেটিভ আসে। ওই রাতেই বিষয়টি মৃতের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন হাবিবুল।
মৃতের আত্মীয়রা জানান, লকডাউনের ৩ মাস আগে মুম্বইতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। সেখানে একটি ইমিটেশন কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। লকডাউনে সারা দেশের পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। জমানো টাকাও ফুরিয়ে আসছিল। এদিকে ঈদে বাড়ি আসার জন্য তাঁরা সকলে উদগ্রিব হয়ে ওঠেন। শুক্রবার তাঁরা মুম্বই থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বিভিন্ন পথ ঘুরে ওঁদের বাস ঝাড়খণ্ডে চলে আসে। রাঁচি শহর থেকে কিছুটা দূরে একটি ছোট গাড়িকে পাশ দিতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ওই বাসে বাংলার বিভিন্ন জেলার ৭৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। নাদনঘাটের যুবকরা বাসের ভিতরে বসার জায়গা পাননি। তাঁদের বাসের ছাদে উঠে বসতে হয়েছিল। দুর্ঘটনায় সকলেই কম-বেশি জখম হন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে নাদনঘাটের হাবিবুল মণ্ডল ও বাবু শেখের মৃত্যু হয়।
এদিকে ওই যুবকের মৃত্যু সংবাদ আসার পর থেকেই গোটা বগপুরে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতদেহ কবর দেওয়ার আয়োজন চলছিল। কিন্তু দেহ আসার আগেই হাবিবুলের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর গ্রামে পৌঁছয়। বগপুরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন উপপ্রধান বদরুল মণ্ডল বলেন, হাসপাতালে শুধুমাত্র হাবিবুলের কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়। আত্মীয়-স্বজনরাও ওঁকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন না।