অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র বলেন, ই-টিকিট কালোবাজারি করার জন্য আমরা দুর্গাপুর থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রায় তিন লক্ষ টাকার ১০৮টি ব্যবহৃত টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
লকডাউনের আগে পর্যন্ত রেলের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ই-টিকিটের কালোবাজারি। রিজার্ভেশন কাউন্টারের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে টিকিট কাটার ঝক্কি কমাতে রেল আইআরসিটিসির মাধ্যমে অনলাইনে ই-টিকিট পরিষেবা চালু করে। রেলের বৈধ এজেন্টরাও এই টিকিট কেটে তা বিক্রি করতে পারেন। আবার সাধারণ যাত্রীরা নিজের নামে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিজের পরিবারের ব্যবহারের জন্য তা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু, দেখা গিয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী একাধিক ভুয়ো পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট বানিয়ে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে টিকিট কেটে তা বেশি দামে বিক্রি করছে। এনিয়ে ধারাবাহিক অভিযানও হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই ফের দুর্গাপুরে মাথা চাড়া দিল এই চক্র। এদিন দুর্গাপুরের চণ্ডীদাস অ্যাভিনিউতে একটি জেরক্সের দোকানে হানা দেয় দুর্গাপুরের আরপিএফ ও স্থানীয় পুলিস। সেখানে দেখা যায় সেপকো টাউনশিপের দেবাশিস দাস নিজের এজেন্ট আইডি ছাড়াও আরও ন’টি ভুয়ো পার্সোনাল আইডি বানিয়ে টিকিট কেটে তা বেশি দামে বিক্রি করেছে। তার কাছ থেকে ১০৮টি ব্যবহৃত ই-টিকিটের প্রিন্ট আউট পাওয়া যায়। যার মূল্য ২লক্ষ ৯৩হাজার ৫৫৬টাকা। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয় দোকানের কর্মচারী বীরভূমের দুবরাজপুরের জগন্নাথ মণ্ডল। দুর্গাপুর পোস্টের আরপিএফ ইন্সপেক্টর রূপেশ কুমারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারীদের কাছে অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করেছে বলে দাবি। আরও তথ্য জানতে তাদের ব্যবহৃত সিপিইউ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রেল পুলিসের ধারণা রেল টিকিটের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখেই তারা ফের লকডাউনের মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠছে। যাত্রী মহলে এনিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু মানুষই নিজ এলাকায় ফিরতে উদগ্রিব। তাঁরা ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারই মধ্যে যদি টিকিটের কালোবাজারি বেড়ে যায় তাহলে ফের টিকিটের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে। যদিও আরপিএফের দাবি, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। ধারাবাহিক অভিযান হবে।