শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলিয়ার বয়ড়া এলাকার কাঠগোলা মোড়ের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের বরুণ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই ভাগীরথীর চরে চাষবাস করেন। সেখানে তাঁর দেড় বিঘা জমি রয়েছে। ডিঙিনৌকো করেই নিত্যদিন স্ত্রী সুলেখাকে নিয়ে নদীর চরে চাষ করতে যান। তিনি জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। ধান কাটার সময় হয়ে যায়। কিন্তু উম-পুনের দাপটে চাষে ক্ষতি হয়। ঝড়ের দাপটে মাটিতে ধান গাছ নুইয়ে পড়ে। রবিবার সেই ধান গাছ থেকে ঝাড়িয়ে বস্তায় বাড়ি নিয়ে আসছিলেন। সঙ্গে স্ত্রী ও আরও দুই সহযোগী নিতাই রাজবংশী এবং শিবনাথ দাস ছিলেন। সন্ধ্যায় নৌকায় মাঝ নদীতে আসার সময় দমকা হাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। বরুণবাবু বলেন, হঠাৎ একটা দমকা হাওয়ায় সম্পূর্ণ ডিঙি নৌকা উল্টে যায়। চারজন কোনওরকমে সাঁতরে নদীর পাড়ে উঠে। চোখের সামনে নৌকাসহ সমস্ত ধানের বস্তা ডুবে যায়। সোমবার সকালে নদীতে ডুবে যাওয়া নৌকা সহ ধানের বস্তা খোঁজার চেষ্টা করি। কিন্তু নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ আর হাওয়া থাকায় আর সম্ভব হয়নি। আমরা এমনিতেই গরিব মানুষ। তার উপর এত বড় ক্ষতি কীভাবে সামাল দেব বুঝে উঠতে পারছি না।