শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপের শুরুর দিকে বীরভূম জেলা গ্রিন জোনে ছিল। পরে ভিনরাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের শরীরে সংক্রমণ মেলে। বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে, প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তার রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। এরফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তরকে।
প্রসঙ্গত, প্রথমদিকে বীরভূম জেলার বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহ করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু, সেখানেও অত্যধিক চাপ থাকায় রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছিল। পরে কলকাতায় পাঠানো হয় নমুনা। বর্তমানে কলকাতাতেই সমস্ত নমুনা পাঠানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, কলকাতায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ নমুনা পাঠানো হয়। কিন্তু, সেগুলির রিপোর্ট কখনও পাঁচ বা সাতদিনও লেগে যাচ্ছে বলে দাবি। তাই এবার দুর্গাপুরের হাসপাতালে নমুনা পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। দুর্গাপুরের ওই হাসপাতালে প্রতিদিনে গড়ে ২৫০ নমুনা পাঠানো হলে কলকাতার সঙ্গে সমন্বয় রেখে রিপোর্ট জেলায় আসতে পারে। তাই দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভিনরাজ্য থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় আসছেন। জেলার সীমানাতেই সেইসব পরিযায়ী শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারপর তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, সেইসব ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হলেও তা আসতে দেরি হচ্ছে। তাই কলকাতার পাশাপাশি দুর্গাপুরের হাসপাতাল থেকে রিপোর্টের ভরসা করছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার অধীন বহু ব্যক্তির রিপোর্ট অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের একাধিক কর্তার মতে, সিউড়ি সদর হাসপাতালের পাশাপাশি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজেও করোনা পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, সেখানে পরীক্ষার জন্য আইসিএমআর-এর অনুমোদন মেলেনি। তাই যাতে দ্রুত সেই ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়া যায় তার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।