বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে সীতাহাটি পঞ্চায়েতের কেঁওগুড়ি গ্রামের হাটপাড়া এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য নাসির শেখ ওরফে জগা এবং ফেলু মল্লিক গোষ্ঠীর মধ্যে ঢালাই রাস্তা তৈরি ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। এমনকী দু’পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে কেতুগ্রাম থানার বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস কিছু বোমার স্প্লিন্টার, ফাঁকা দুটি নাইনএমএম পিস্তলের কার্তুজ উদ্ধার করেছে। ঘটনার জেরে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, ফেলু মল্লিকের বাড়ির সামনে প্রায় ৮০০ ফুটের একটি ঢালাই রাস্তা তৈরির কাজ হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় পঞ্চায়েত সদস্যা ময়না বিবির স্বামী নাসির শেখ দলবল নিয়ে সেখানে যান। পাশাপাশি আগে থেকেই দলবল নিয়ে হাজির ছিলেন ফেলু। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপরেই বোমাবাজি চলে। বোমার পাথরকুচি মাথায় লেগে জখম হন নাসির শেখের এক ভাই সেলিম শেখ। তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। নাসির শেখের ভাই জসিম শেখ বলেন, ঢালাই রাস্তা তৈরি হওয়ার সময় ফেলু বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার ভাইয়ের কাছে টাকা চাইছিল। যেহেতু আমার ভাইয়ের স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য, তাই ফেলু রাস্তা তৈরির জন্য টাকা চাইছিল। কিন্তু আমার ভাই টাকা দিতে রাজি হয়নি। তারপর ওই রাতে আমার ভাইকে ফেলু ফোন করে ওদের পাড়ায় ডেকে নিয়ে যায়। তারপরেই আমার ভাইকে মারার জন্য বোমাবাজি করে।
যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা তথা সীতাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান বিকাশ বিশ্বাস বলেন, এসব ঘটনা সত্য নয়। এটা সম্পূর্ণ ওদের পারিবারিক বিষয়। রাজনীতির কোনও ব্যাপার নয়।
অন্যদিকে, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, রাস্তা তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। নিয়ম মেনেই রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য কেউ টাকা চায়নি। ওখানে ঢালাই রাস্তা কোনদিকে হবে তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে দু’পক্ষই বোমাবাজির ঘটনায় যুক্ত ছিল। তাই রাজনীতির রং না দেখে দু’পক্ষকেই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে বলে শুনেছি। পুলিস তদন্ত করবে বিষয়টি দেখবে।