বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশাদার দুষ্কৃতীরা হাতসাফাই এবং কেপমারি করার সময় নানা কৌশল নেয়। বিভিন্ন ছলনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কিছুক্ষণের জন্য অন্যমনস্ক করে দেয়। সেই সুযোগে তারা নিজেদের কার্যসিদ্ধি করে চম্পট দেয়। বর্ধমানের শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রচুর ল্যাংচার দোকান রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় এক বিদেশি যুবক এবং এক বিদেশি মহিলা একটি ল্যাংচার দোকানে ঢোকে। তারা বিভিন্ন মিষ্টি দেখতে থাকে। মিষ্টির দামও জিজ্ঞাসা করে। তারপর একটি চিপসের প্যাকেট কিনে দু’হাজার টাকার নোট দিয়ে খুচরো চায়। বিদেশি অতিথি, তাই মুখের উপর না বলে খুচরো বের করতে থাকেন ওই দোকানদার। সেই সুযোগে ওই বিদেশি যুবক ক্যাশবাক্সের সামনে গিয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। দু’জনেই অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলছিল। তবে, মাঝে মাঝে ভাঙা হিন্দিও বলছিল। ওই দোকানের মালিক একশো টাকার নোটের একটি বান্ডিল বের করে খুচরো দিচ্ছিলেন। কথা বলার ছলে ওই নোটের বান্ডিলটি পকেটে ভরে নেয় ওই যুবক। তারপর অন্য দোকানে যায়।
একইভাবে দু’হাজার টাকার খুচরো চায় বলে হাতসাফাই করে পালিয়ে যায়। তিন নম্বর দোকানে গিয়ে আবার অন্য পন্থা নিয়েছিল। ৫০০ টাকার চারটি নোট নিয়ে গিয়ে একটি দু’হাজারের নোট দিতে রলে। সেই দু’হাজার টাকার নোট নিয়ে ক্যাশবাক্সের সামনে আলোর দিকে দাঁড়িয়ে আসল না নকল দেখতে থাকে। সেই সুযোগেও হাতসাফাই করে নেয়। তারপর চম্পট দেয়। তারা শক্তিগড় ছেড়ে পালানোর পর দোকানদাররা বুঝতে পারেন, হাতসাফাই হয়েছে। সকলে বেরিয়ে দেখেন, ওই দু’জন হাওয়া। তারপর সিসি টিভি ক্যামেরার রেকর্ডিং দেখা হয়। সেখানেই হাতসাফাইয়ের ছবি ধরা পড়ে। পুলিসেও খবর দেওয়া হয়। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিস জানিয়েছে, দোকানদারদের কথা এবং সিসি টিভির ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে, প্রতারকেরা বিদেশি হতে পারে। তবে, তারা কোনদিক থেকে এসেছিল। হাতসাফাইয়ের পর কোনদিকে গিয়েছে তার জানা যায়নি। বিভিন্ন লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, এই অভিনব প্রতারণার ঘটনায় পুলিসের অনুমান, ওই বিদেশি যুবক হাতসাফাইয়ে যথেষ্ট পেশাদার। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বর্ধমান শহরে পুলিস আধিকারিক, সিবিআইয়ে আধিকারিক এবং আয়কর দপ্তরের আধিকারিক সেজে অভিনব কায়দায় বেশ কয়েকটি কেপমারির ঘটনা ঘটেছিল। পুলিস অবশ্য ওই কেপমারির পুরো চক্রটি গ্রেপ্তার করেছে। তবে, ফের এই অভিনব হাতসাফাইয়ের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসের ডিএসপি (সদর) সৌভিক পাত্র বলেন, একটি হাতসাফাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমরা তদন্তও শুরু করেছি। যে দু’জন এই কাজ করেছে, তাদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে।