বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাদের আলি খানের আনুমানিক বয়স ৮০বছর। ২০০৭সালে অসুস্থ হয়ে তাঁর প্রথম স্ত্রী মারা যান। অভিযুক্ত শাজাহান প্রথম পক্ষের সন্তান। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নাদের সাহেব আরেকটি বিয়ে করেন। কিন্তু, ২০০৯ সালে নাগাদ সাপের কামড়ে সেই স্ত্রীরও মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় পক্ষে অবশ্য কোনও সন্তান নেই। এই অবস্থায় একাকিকত্ব কাটাতে বৃদ্ধ নাগেরসাহেব আর একবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ঘনিষ্ঠ লোকজনের কাছ থেকে এব্যাপারে পরামর্শও নেন। এরই মধ্যে তিনি পাত্রী দেখাও শুরু করে দেন। পাঁশকুড়া শহরে পুরনো বাজার এলাকার এক মহিলার খোঁজ পেয়ে যান। ওই মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন। ১১ফেব্রুয়ারি দু’জনের মধ্যে বিয়ে হয়। তারপর নতুন বউকে নিয়ে বাড়িতে ওঠেন ওই বৃদ্ধ। বিয়েতে মত ছিল না ছেলে-বউমার। এই অবস্থায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ছেলে ধারালো ছুরি নিয়ে বাবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোট ২২টি সেলাই পড়েছে। বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই এই হামলা বলে প্রতিবেশীরা মনে করছেন।
তমলুক জেলা হাসপাতালে স্বামীর সঙ্গেই রয়েছেন নাদের আলি খানের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেদের অতীতের খারাপ দিনগুলিকে সরিয়ে আমরা নতুন করে সংসার পেতেছি। এই পথে কেউ কেউ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নিজেদের মতো বাঁচতে চেয়েছি। এতে আপত্তি কোথায়? ১১ ফেব্রুয়ারি আমাদের বিয়ে হয়েছে। তারপর এরকম একটি ঘটনা ঘটে গেল। খুনের পরিকল্পনা নিয়েই হামলা চালানো হয়েছে। এখনও সঙ্কটজনক অবস্থা কাটেনি। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি।
ছেলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধ পরিচিত শেখ মইদুল নামে একজনকে ফোন করেন। মইদুল সাহেব রক্তে ভেজা অবস্থায় নাদের আলি খানকে পাঁশকুড়ায় থানায় নিয়ে যান। জখম বৃদ্ধের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী থানায় এফআইআর করেন। সেইমতো মামলা শুরু হয়েছে। তারপর জখম বৃদ্ধকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বৃদ্ধের পরিচিত শেখ মইদুল বলেন, মোট ২২টা সেলাই পড়েছে। গলাতেও কোপানো হয়েছে। সেই অবস্থায় আমাকে ফোন করে বৃদ্ধ বলেন, ছেলে কুপিয়েছে। ঘটনার পর ছেলে এবং বউমা পলাতক। বর্তমান স্ত্রী আপাতত হাসপাতালে বৃদ্ধের সেবা শুশ্রূষা করছেন।
পাঁশকুড়া থানার ওসি অজয় মিশ্র বলেন, ওই বৃদ্ধ সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। কেউ বলছেন, তিন নম্বর আবার কেউ বলছেন পাঁচ নম্বর বিয়ে। এই বিয়েতে আপত্তি ছিল ছেলের। সেই ক্রোধ থেকে হামলা চালানো হয়েছে। এফআইআর হয়েছে। অভিযুক্ত পালতক।