বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
এব্যাপারে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দজি মহারাজ বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও নিষ্ঠার সঙ্গে ঠাকুরের জন্মতিথি পালিত হবে। সকালে থাকছে স্তোত্র পাঠ, বিশেষ পূজার্চনা ও প্রভাতফেরি। পাশাপাশি ঠাকুরের জীবনী নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও চারদিন ধরে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে থাকবে নাম সংকীর্তন, বাউল সঙ্গীত ও যাত্রাপালা।
নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আরামবাগের এসডিপিও নির্মল কুমার দাস বলেন, কল্পতরু উৎসবের মতো রামকৃষ্ণের জন্মতিথিতে কামারপুকুর মঠে বাড়তি পুলিস মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিস টহল দেবে। নিরাপত্তা জোরদার করতে কামারপুকুরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের উপর আমাদের মনিটরিং চলবে। এছাড়াও মঠের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর রাখা হবে। কামারপুকুর কলেজের এনসিসি বাহিনী মোতায়েন করা হবে মঠ চত্বরে। কেপমারির মতো ঘটনা এড়াতে পুলিসের স্পেশাল টিম নজরদারি চালাবে। সবরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিস প্রস্তুত রয়েছে।
মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২৮২ থেকে ১২৫৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে ১৭বছর বয়স সময়কাল পর্যন্ত বালক গদাধর কামারপুকুরে একটানা কাটিয়েছিল। পরবর্তী সময়েও একাধিকবার তিনি তাঁর জন্মভূমিতে ফিরে এসেছিলেন। রামকৃষ্ণদেব জীবনের শেষ দিকে প্রতি বর্ষা ও শরতের সময় কামারপুকুরে এসে থাকতেন। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, রথযাত্রা, কল্পতরু উৎসবের মতো রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথিও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয় এখানে। মঠে প্রায় ২৫০জন অতিথির থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ঠাকুরের জন্ম উৎসবের প্রায় তিনমাস আগে থেকে ভক্তরা অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে রুম বুকিং শুরু করে দেন। এবারও কোনও গেস্টরুম ফাঁকা নেই। এছাড়াও ঠাকুরের জন্মতিথিতে কামারপুকুরে কাটানোর জন্য বেসরকারি হোটেলগুলিতে আগে থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন পর্যটকরা। জন্মতিথি অনুষ্ঠান উপলক্ষে সোমবার থেকেই কামারপুকুর মঠ চত্বরটিকে সুন্দরভাবে সাজানোর কাজ শুরু হয়। ঠাকুরের বাড়ি, মন্দির সব জায়গা রংবেরঙের আলো ও বাহারি ফুলের সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আজ, সকাল থেকেই ভক্তরা ঠাকুরের আরাধনায় মাতবেন।
জামশেদপুর থেকে আসা গৃহবধূ রিঙ্কু বাদিয়ানি বলেন, আগেও বেশ কয়েকবার কামারপুকুরে এসেছি। কিন্তু, ঠাকুরের জন্মতিথিতে এই প্রথমবার। পরিবারের সকলে মিলে তাই আগে এখানে এসে উঠেছি। মঠের পরিবেশ এবং সমস্ত আয়োজন দেখে মনের মধ্যে আলাদা অনুভূতি কাজ করছে। যা হয়তো এই সময় না এলে কখনই উপলব্ধি করতে পারতাম না। ঝাড়গ্রাম থেকে আসা চিকিৎসক গোবিন্দ দেবনাথ বলেন, বহুদিন থেকে ইচ্ছা ছিল রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথিতে কামারপুকুর বেড়াতে আসব। এবছর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।