কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঢোলটিকুরি গ্রামের সর্দারপাড়ায় গত দু’দিন ধরে দেখা দিয়েছে ডায়ারিয়ার প্রকোপ। তার প্রভাব এতটাই বেশি যে শিশু থেকে বৃদ্ধ মিলিয়ে পাড়ায় প্রায় ২৫জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। রবিবার থেকে কেন হঠাৎ গ্রামের অনেকেই ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উঠছেন তা বুঝতে পারছিলেন না অন্যান্যরা। আক্রান্তদের তড়িঘড়ি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালেও তাঁদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে কীভাবে ডায়ারিয়ার প্রকোপ গ্রামে ছড়াল তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননি গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দা সহ আক্রান্তরা। বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামে পানীয় জলের যে ব্যবস্থা রয়েছে তার থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। জার্মান জল প্রকল্প গ্রামে পানীয় জলের জোগান দেয়। অন্যদিকে, নিত্যদিনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ যেমন বাসন মাজা, কাপড়জামা ধোয়াও স্নানের জন্য অধিকাংশেরই ভরসা গ্রামের পুকুরগুলি। সেই জল বারবার ব্যবহারের ফলে সংক্রমিত হয়ে ডায়ারিয়া হয়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের, এমনটাই দাবি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের। গ্রামে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে সেই খবর পেয়ে রবিবারের পর ফের সোমবার বোলপুর ব্লক জয়েন্ট বিডিও সহ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও প্রতিনিধি দল এলাকায় যায়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তাঁরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, পুকুরের জল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আক্রান্তদের প্রতিটি পরিবারই পুকুরের জলে থালা-বাসন ধোয়া-মাজা করেন। সেই বাসনপত্রে ফের খাওয়া-দাওয়া করার জন্যই ডায়ারিয়া ছড়িয়েছে। সোমবার এলাকায় গিয়ে তাঁরা স্থানীয় মানুষদের সচেতন করেন। তার পাশাপাশি অসুস্থদের ওষুধ দেওয়া হয় ও পুকুরের জলকে কীভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে সেবিষয়ে জানানো হয়।
ঢোলটিকুরি গ্রামে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত বাসিন্দা নারায়ণ সর্দার, সুমন্ত সর্দার বলেন, হঠাৎ শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ায় আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, তা জল থেকে হয়েছে নাকি খাবার থেকে হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। পুকুরের জলেই বাড়ির প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের কাজকর্ম করা হয়।
কঙ্কালী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মামন শেখ বলেন, আমরা গ্রামে ডায়ারিয়া হওয়ার খবর পেয়েছি। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে ও পঞ্চায়েতের তরফেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বোলপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী রায় বলেন, ডায়ারিয়ার খবর পাওয়া মাত্রই ওই গ্রামে আমাদের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। কিন্তু, দু’দিন ধরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ রয়েছে জানতে পেরে সোমবার বোলপুর ব্লকের বিডিও ও স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসি। আপাতত নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। বাকিরাও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।