সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
এদিন সকালে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে মদনমোহনকে বের করে আনা হয়। এরপর শুরু হয় যজ্ঞ। মদনমোহনকে দুধ, দই, ঘি, মধু, ডাবের জল দিয়ে স্নান করানো হয়। তারপর ১০৮ কলস জল দিয়ে স্নান করেন মদনমোহন। এরপর গর্ভগৃহে নিয়ে গিয়ে সিংহাসনে বসানো হয় তাঁকে। সেখানে চলে বিশেষ পুজো। যজ্ঞের সময় ধূপ, চাল, চিনি দিয়ে চড়ু হোম নিবেদন করা হয় ও আহুতি দেওয়া হয়। অন্ন, ডাল, লুচি, সব্জি, মিষ্টান্ন ইত্যাদি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয় মদনমোহনকে। আজ, মঙ্গলবার মদনমোহনের নবান্ন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন থেকে বাবা নতুন চাল খাওয়া শুরু করবেন। এই উপলক্ষ্যে মদনমোহন মন্দিরে বিশেষ পুজোরও আয়োজন করা হয়েছে।
মদনমোহন মন্দিরের পুরোহিত শিবকুমার চক্রবর্তী বলেন, সোমবার ছিল পৌষ পূর্ণিমা। এদিন মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক হল। এই উপলক্ষ্যে বিশেষ পুজো ও যজ্ঞ করা হয়েছে। ১০৮ কলস জল, সহস্রধারায় বাবাকে স্নান করানো হয়েছে। মঙ্গলবার নবান্ন। ওই দিন থেকে কোচবিহারবাসীর প্রাণেরঠাকুর মদনমোহনকে নতুন চাল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হবে।
কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন মন্দিরে সারা বছরই নির্দিষ্ট দিন, ক্ষণ, তিথি মেনে পুজো হয়। মদনমোহনের রাসযাত্রা, দোলযাত্রা, রথযাত্রা, সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার সহ একাধিক অনুষ্ঠানের আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। তার নিয়ম, রীতি সবই আলাদা। প্রাচীনকাল থেকে শুরু হওয়া মদনমোহনের পুষ্যাভিষেকও তেমনই একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এদিন মদনমোহনকে ১০৮ কলস জল এনে স্নান করানো হয়। এই উপলক্ষ্যে মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়েছিল। শীতের দুপুরে পুণ্যার্থীদের শ্রদ্ধা, পুজো, যজ্ঞ সব মিলিয়ে মন্দির চত্বর ছিল জমজমাট। সন্ধ্যায় মদনমোহনের সন্ধ্যারতি হয়। সন্ধ্যারতি দেখতেও ছিল মন্দিরে ভক্তদের ভিড়।