ভোটের ব্যস্ততায় সোনা কেনার কথা অনেকেই কার্যত ভুলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ আবার ইচ্ছা থাকলেও যানবাহনের অভাবে দূর থেকে ইংলিশবাজার শহরের পছন্দের দোকানে পৌঁছতে পারেননি। ফলে গত একমাস ধরে ব্যবসা মার খেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: পরিবারে রয়েছে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। অর্থের অভাবে নিতে পারেননি প্রয়োজন অনুযায়ী টিউশন। অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা থমকে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করলেন হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ি এলাকার ছাত্রী কাকলি কুণ্ডু। তিনি বাঙ্গালবাড়ি হাইস্কুল থেকে এবছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ৪৭৫ পেয়েছেন। তিনি ইংরেজিতে ৯৩, ভূগোলে ৯৬, ইতিহাসে ৯২, দর্শনে ৯৫ এবং এডুকেশনে ৯৯ পেয়েছেন। তিনি হেমতাবাদ ব্লকে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছেন। বাবা কৃষ্ণকুমার কুণ্ডু গ্রামে সামান্য জেরক্সের দোকান করে সংসার চালান। মা ২০০৯ সালে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর দিদি কুহেলি কুণ্ডু বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন। কাকলি বলেন, আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে পর্যাপ্ত টিউশন নিতে পারিনি। সারাদিনে ৬-৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছি। ভবিষ্যতে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাবার মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাবা কৃষ্ণবাবু বলেন, গ্রামে একটা জেরক্সের দোকান করে কোনওরকমে সংসার চলে। এরমধ্যে মেয়ের এত ভালো রেজাল্টা আশা জোগাচ্ছে মনে। কিন্তু আগামীতে মেয়ের পড়াশোনার খরচ নিয়ে আমি চিন্তিত। সরকারি সহায়তা না পেলে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বাঙ্গালবাড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, কাকলির খবি ছোটগবলাতেই মা মারা গিয়েছে। বাবার আর্থিক উপার্জনও কম। তবে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে সে সফল হয়েছে। তাকে আর্থিক সাহায্য করে উচ্চশিক্ষিত করা আমার দায়িত্ব। হেমতাবাদের জয়েন্ট বিডিও রৌনক রায় বলেন, ওই ছাত্রীর ভালো ফলাফলের খবর পেয়েছি। তবে উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থ যাতে বাধা না হয় সেই বিষয়টি দেখব। নিজস্ব চিত্র
