সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
তৃণমূলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপন গুহ বলেন, বিজেপির সন্ত্রাসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। গত লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল, তারই প্রতিফলন হয়েছে কয়েকটি জায়গায়। ছোট শালবাড়িতে যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি আমাদের দলের সমর্থক। বিজেপির দুষ্কৃতীরা ওকে গুলি করে খুন করেছে। এখন দোষ ঢাকতে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। শীতলকুচিতে বিজেপির জয়ী প্রার্থী বরেনচন্দ্র বর্মন বলেন, শীতলকুচিতে রবিবার বিকেল থেকে পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী সন্ত্রাস চলাচ্ছে। আমরা এ নিয়ে পুলিসকে জানালেও এখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। ওদের হামলার ভয়ে আমাদের কয়েকশো নেতা-কর্মী বাড়ি ছেড়ে অন্য গ্রামে আছেন। ছোট শালবাড়িতে আমাদের কয়েকজন কর্মী এদিন একসঙ্গে বসে ভোটের ফলের আলোচনা করছিলেন। ওই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকা হামলা চালায়। এক যুবককে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ যুবক মারা গিয়েছেন। ঘটনায় আমাদের দলের আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। ভোটে হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল বোমা-বন্দুক দেখিয়ে মানুষকে এখন ভয় দেখাচ্ছে।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সিদ্ধার্থ দর্জি বলেন, ছোট শালবাড়িতে গুলি চালনার ঘটনার তদন্ত চলছে। গ্রামে পুলিস রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল ভোটের দিনও শীতলকুচির বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ভোটের দিন সকালে শীতলকুচির গোলেনাওহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলির ১২৬ নম্বর বুথে চারজনকে গুলি করে মারার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়ে। ভোটের ফল ঘোষণা হতেই ফের অশান্তি শুরু।