সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: সোমবার সকালে ময়নাগুড়ির রানিরহাট মোড়ে বেশকিছু বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। একটি বাইক ও ট্রাক্টরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি মুদি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। দুষ্কৃতীদের হামলায় চারজন জখম হন। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের দাবি, তারা ওই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পেরে ওরা সন্ত্রাস করছে। সকালে ময়নাগুড়ির রানিরহাট মোড়ে একদল দুষ্কৃতী কয়েকটি বাড়িতে চড়াও হয়। একটি দোকানে হামলার চালায়। বিজেপি সমর্থক মলিন্দ্রনাথ সেনের বাড়িতে, রাজকুমার সেনের দোকানে হামলা চালায়। রাজকুমার সেনের অভিযোগ, তাঁর দোকানে ভাঙচুরের পাশাপাশি বেশকিছু সামগ্রী দুষ্কৃতীরা লুট করে নিয়ে যায়। মলিন্দ্রনাথবাবুর বাড়ির একটি বাইক পুড়িয়ে দেয়। তাঁর বাড়ির পাশেই থাকা একজনের ট্রাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মলিন্দ্রনাথ সেনের ছেলে কমল সেনের মাথায় পাথর দিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে জখম চারজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের ময়নাগুড়ি-১ ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন, আমরা ময়নাগুড়িতে হেরেছি ঠিকই কিন্তু, বিরাট মার্জিনে রাজ্যে জিতেছি। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পেরে গণ্ডগোল করছে। আমি শুনছি, যাদের বাড়িতে ঝামেলা হয়েছে, ওই বাড়ির একজন রবিবার কাউকে চর মেরেছিল। সেটা নিয়েই ঝামেলা হয়। তৃণমূলকে বদনাম করতে এসব রটানো হচ্ছে।
ময়নাগুড়ির বিজেপির জয়ী প্রার্থী কৌশিক রায় বলেন, কারা এসব করছে তা গ্রামবাসীরা জানেন। উত্তরবঙ্গের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। এটা তৃণমূলের লোকজনের সহ্য না হচ্ছে না। তাই অশান্তি করছে। আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় দ্রুত চলে আসে ময়নাগুড়ি এবং সংলগ্ন ধূপগুড়ি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। গাড়িতে আগুন লাগায় দমকল কেন্দ্র থেকে একটি ইঞ্জিনও চলে আসে। যদিও দমকল আসার আগেই স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিভে যায়। গোটা ঘটনার পর সন্ধ্যাতেও এলাকা থমথমে থাকে।
কমল সেনের মেয়ে পিয়ালী সেন বলেন, আমাদের বাড়িতে দু’টি পিকআপ ভ্যানে ২০-২৫ জন এসে হামলা চালায়। আমার বাবা বিজেপি সমর্থক হওয়ায় এই হামলা হয়। ওরা পাথর দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করেছে। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে যাওয়া হলেও দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।