সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
কুশমণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের কনভেনর অম্বরিশ সরকার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রবল বিজেপি হওয়া থাকলেও সংগঠনের জোড়ে আমরা এই কেন্দ্র কিছু ভোটে এগিয়ে ছিলাম। এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ভোট যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছি। কুশমণ্ডি এলাকার রাজবংশী সমাজের মানুষ এতদিন বাম সমর্থক ছিল। জনসংযোগকে হাতিয়ার করে তাদেরকে আমাদের দিকে আনতে পেরেছি। কুশমণ্ডির মানুষ দেখেছে ১০ বছর রাজ্যে তৃণমূল সরকার থাকলেও এই কেন্দ্রের বাম বিধায়ক কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মানুষ বুঝেছে এবারে যে দল ক্ষমতায় থাকবে সেই দলকে সমর্থন করে এলাকার উন্নয়ন করতে হবে।তাই তারা উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
রেখা রায় বলেন, ২০১৬ সালে খুব কম ব্যাবধানে হেরেছিলাম। কুশমণ্ডির মানুষ দেখেছে বাম বিধায়ক এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে ব্যর্থ। আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের উন্নয়ন মূলক প্রচার ও এলাকা ভিত্তিক মানুষের সমস্যা তুলে ধরেছি। মানুষ এবারে আমাকে বিশ্বাস করে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বাম আমল থেকে কুশমণ্ডি অবহেলিত, উন্নয়ন নেই। এবারে আমি মানুষের হয়ে কাজ করব। আমাদের বিধানসভার মধ্যে রয়েছে গঙ্গারামপুরের দু’টি অঞ্চল সুকদেবপুর ও বেলবাড়ি। সেখানে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। কুশমণ্ডি ব্লকে ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে আমাদের জয় এসেছে।
কুশমণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী নর্মদা রায় বলেন, টানা ছয় বার বিধায়ক থেকে কুশমণ্ডির মানুষের জন্য কাজ করেছি। এবারে লড়াই যে কঠিন ছিল তা প্রচারে গিয়ে আঁচ করতে পেরেছিলাম। মেরুকরণের রাজনীতি হয়েছে রাজ্যে। কুশমণ্ডি বিধানসভাও বাদ যায়নি। হিন্দু, মুসলিমের বিভাজনের রাজনীতি হয়েছে। তৃণমূল মানুষকে বোঝাতে সামর্থ্য হয়েছে। মানুষ এবার তাদের দু’হাত ভরে আশীর্বদ দিয়েছে। আমি মানুষের পাশে যেভাবে ছিলাম এখনও সেভাবেই থাকব। কুশমণ্ডির মানুষের আপদে বিপদে সব সময় থাকব। বিধায়ক হিসেবে আমি এলাকায় অনেক কাজ করেছি। হয়ত সম্পূর্ণ কাজ করতে পারিনি। গত ৩০ বছরে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। জনতার রায় মাথা পেতে নিয়েছি। এবার মেরুকরণের রাজনীতির জন্য লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হয়েছে।