সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ইসলামপুর জেলা পুলিস জানিয়েছে, এসআই ও এএসআই পর্যায়ের ১০১ জন অফিসার থাকছেন। এছাড়া ৪৫০ জন কনস্টেবল এবং ১১১ জন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকছে। ইসলামপুর ও ডালখোলা পুরসভা এলাকায় দু’টি অ্যান্টি ক্রাইম টিম থাকবে। প্রতি টিমে ১০ জন করে সদস্য থাকছে। ইভটিজিং রোধে ইসলামপুর ও ডালখোলায় দু’টি টিম থাকবে। এই টিমে মহিলা পুলিস কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার ও এসআই কিংবা এএসআই মিলে ১০ জনের টিম হবে। রিজার্ভ ফোর্স মুভমেন্টের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ৩০ জন র্যাফ বাইরে থেকে আসছে।
ইসলামপুরের এসপি সচিন মক্কর বলেন, গত বছরের চাইতে এবছর আমরা দ্বিগুণ ব্যবস্থা করেছি। পুজোর জন্য ৩০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করা হচ্ছে। ১০ দিন তাঁরা ডিউটি করবেন। হোমগার্ডদের বিশেষ করে ট্রাফিকে ডিউটি করান হবে। আমরা তাদের আই কার্ড করে দিচ্ছি। দুই শহরে অ্যান্টি ক্রাইম টিম সাদা পোশাকে থাকবে। ষষ্ঠীর দিন ইসলামপুর ও ডালখোলায় বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জাতীয় সড়কে ভারী যানবাহন চলচল বন্ধ রাখা হবে। ষষ্ঠীর দিনের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা অন্য দিনগুলির সময়সীমা ঠিক করব। দুই শহরেই আমাদের প্রচুর সিসি টিভি ক্যামেরা আছে। ক্যামারার মাধ্যমেও নজরদারি চলবে। যেসমস্ত ক্যামারা খারাপ হয়ে আছে সেগুলি শীঘ্রই মেরামত করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগও কাজ করবে। পুলিসের ১০০ ডায়াল ও ইসলামপুর সহায়ক অ্যাপের মাধ্যমেও খবর পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুজোর দিনগুলিতে ভিড় ও জটলার কারণে নানা ঘটনা ঘটে। এছাড়া কিছু অসামজিক চক্রও সক্রিয় হয়। চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনাও সামনে আসে। ফলে এবিষয় গুলিতে পুলিস প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে অনেকাংশই সেই সমস্ত ঘটনা রোধ করা সম্ভব। ডালখোলায় অনেকগুলি সিসি ক্যামেরা দীর্ঘদিন থেকেই বিকল হয়ে আছে। সেগুলি দ্রুত মেরামত করা উচিত। এছাড়া দুই শহরেই জাতীয় সড়কে যানজট সমস্যা আছে। পুজার দিনগুলিতে প্রচুর মানুষ রাস্তায় বের হয়। ভিড় সামাল দেওয়া বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুলিসকেও চ্যালেঞ্জে পড়তে হচ্ছে।