Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়। ফুলের ভারে নুয়ে পড়েছে শিউলির ডাল। পদ্মের গোলাপি থেকে শিশির পিছলে যাচ্ছে পুকুরের জলে। আসলে প্রকৃতির অন্তরও পুজোয় মাতোয়ারা।
আমাদের প্রত্যেকের ভিতরেই জেগে থাকে অনন্ত অপেক্ষা। কোনও কিছু সত্যি পেয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতীক্ষাই পরমপ্রাপ্তি। অপেক্ষা যত দীর্ঘতর হয়, পাওয়ার আনন্দ তত গভীর। পুজোর অপেক্ষা জিইয়ে রাখার কোনও তুলনা হয় না কি! ঢাকের আওয়াজ। নতুন জামাকাপড়ের গন্ধ। অঙ্গবস্ত্রের চেয়েও আজ বেশি প্রয়োজন এক চিলতে মুখচ্ছদ। সত্যিই তো কাশফুল এ বছরও নীলচে হয়ে যায়নি। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরও ফিনফিনে হয়ে পড়েনি। টেলিভিশন, খবরের কাগজ পুজোর নতুন বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ। দৃশ্যত কোনও বদল নেই। পাল্লা দিয়ে বাজার-শপিংমল-জুতোজামার দোকানে দূরত্ববিধি বা মাস্ক-বিধি উড়িয়ে ঘেঁষাঘেঁষি আর ঠেসাঠেসির বাড়বাড়ন্ত। তবে ভিড় এড়িয়ে চলার প্রসঙ্গ টেনেই সপ্তপদীর অমর সংলাপ, ‘‘ও যেন আমাকে টাচ না করে!’’ ঘুরেছিল আমার–আপনার মোবাইলেই।
আশা-আশঙ্কার এই আবহে বাঙালির রসবোধের বাহন হয়েছে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ। চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, মাস্কবিহীন শির, হাসপাতালে বেড নেই, গড়িয়াহাটে ভিড়... মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে ‘নতুন ছড়া’। ভাইরাল ক’লাইনে শুধু গড়িয়াহাটের কথা থাকলেও শুধু গড়িয়াহাট নয়, হাতিবাগান, নিউমার্কেট— মহানগরের বড় বাজারের সর্বত্রই ভিড় দেখা যাচ্ছিল রোজ। সেই ভিড় দেখেই সমাজমাধ্যমে এমন আশঙ্কার প্রকাশ দেখা গিয়েছে নানা ছন্দে, ছবিতে। পাল্টা জবাবও সমাজমাধ্যমে ঘুরেছে, ‘যায় যদি যাক প্রাণ, জুতো কিনে বাড়ি যান’-এর মতো লাইন। আসলে, পুজোর মুখে দুশ্চিন্তা কিছুটা কাটিয়ে সবে আশার আলো খুঁজেছে আমবাঙালি! এই শারদোৎসব ঘিরেই অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকার বিকিকিনি হয়। সব স্তরের মানুষের উপকার। পুজো মানে শুধু আড়ম্বর নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের আর্থিক যোগদান। অর্থনীতির উপকার। আমাদের এই বাঙালিজনমের মাঝখানটিতে বসে শত শত সামাজিক ওঠা-পড়া যে নিয়ন্ত্রণ করে এই পুজো। টুকরো টুকরো চাওয়াপাওয়া বদলে-যাওয়া এই বাংলার শারদোৎসব ঘিরেই। বহুতল, শপিং মল, ঝকঝকে দোকান-পসরার ফাঁকে-ফোকরে তরী ভাসিয়ে রাখার অসংখ্য অকথিত কাহিনী। ছেঁড়া ছেঁড়া সংলাপ।
তাকিয়ে দেখুন, নীলাকাশে ক্যানভাসে পেঁজা পেঁজা মেঘ। কোন ঋতু? বাঙালি চোখ বুজে বলে দেবে শরৎ। বাতাসে ইদানীং হিমের পরশ টের পাওয়া যায় না বটে, কিন্তু কাশ এখনও ফোটে। শিউলি ফুলের বোঁটায় এখনও কমলা ঝলকায়। এখনও শরৎ ও দুর্গোৎসব একাত্ম। দুর্গাপুজো গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে উৎসবের ভিড়ে নামিয়ে আনে সমাজের অনেকটা অংশকে। তাতে মিশে যায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষের ঢল। মাসের পর মাস বাড়িতে আটকে বসে থাকা মানুষ, স্কুল-বন্ধু-খেলাধুলো ভুলে ঘরবন্দি কচিকাঁচার দল, কোনও রকমে মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস এঁটে সাইকেলে অফিস ঠেঙানো মানুষের দল ক্রমশ হাঁপিয়ে উঠছে। পুজোর সময় এরা যে মরিয়া হয়ে প্যান্ডেল হপিংয়ে মেতে উঠতে চাইবে, বলাই বাহুল্য! তাহলে কি পুজোর কটা দিন বাঙালি ভুলে থাকবে ‘করোনা-যুদ্ধ’ শব্দবন্ধটা? যুদ্ধবিরতি ঘোষণা? কিন্তু করোনা তো এই বিরতির ধার ধারে না, উৎসবকে পরোয়া করে না। বরং, উৎসব সংক্রমণের অনুঘটক হয়ে দাঁড়াবে কি না, সে আশঙ্কাই বেশি। পুজোর আগল ভাঙা ভিড়ে কোভিড সংক্রমণ যে বাতাসে পাল তোলা নৌকা হয়ে ফিরবে, এ আশঙ্কা ছিলই। পরিসংখ্যান বলছে, মহালয়ার পর সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থেকেছে। ডাক্তারবাবুরাও ত্রাহি-ত্রাহি রব তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মগনলাল মেঘরাজের সংলাপেও যেন তারই প্রতিধ্বনি, ‘‘পুজা মার্কেটিং কোরছেন কোরেন, লেকিন আপনার সেফটির গ্যারান্টি হামি দিতে পারব না।’’ অতএব, কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জারি। রাজ্যের সমস্ত পুজো মণ্ডপ ‘নো এন্ট্রি’ জোন। মণ্ডপে বন্ধ হোক দর্শক প্রবেশ।
করোনার আবহে এ বছর সবই উলটপুরাণ। নিউ-নর্মালের পুজোও তাই অন্য রকম। মিলনের উৎসবেও এ বার দূরত্ব। ঐতিহ্যের পুজোয় ছেদ সুরের মূর্ছনায়! গয়না না শাড়ি, কাশ্মীর না কন্যাকুমারী—ঘরে ঘরে তর্কের ঝড় নেই। হাতের মেহেন্দি ঢাকবে দস্তানায়, পুজোর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতো-জামার সঙ্গে মনে করে কিনতে হয়েছে পছন্দমতো মাস্ক। থিম-সম্ভার নিয়ে হইচই ছাপিয়ে যে মণ্ডপে সব থেকে ভিড়, সে-ই ম্যাডক্স স্কোয়ারের আড্ডা থেকে বাগবাজারের সিঁদুরখেলা— সব ২০২১-এর জন্য তোলা। আমরা এবার যেন উৎসব ঘিরে পরীক্ষায় বসেছি। পুজো একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার অন্যায্য দাবি মুখ্যমন্ত্রী মানেননি। বলেছেন, উৎসব হবে, কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কথা মুখ্যমন্ত্রী বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। কার্নিভাল, বিসর্জন শোভাযাত্রা এবার হবে না, জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্যোক্তারাও এবার প্রচারে কোনওরকম গুরুত্ব দেননি। থিমের অহঙ্কার নয় বরং, জাঁকজমককে অনেক কমিয়ে, অনুরোধ করছেন, ভিড় জমাবেন না। অন্য বছর ভিড়ের প্রার্থনা। এবার উল্টো। দূরত্ব বিধি যথাসম্ভব মেনে চলা সম্ভব। তাতে আপনি বাঁচবেন, অন্যরাও বাঁচবেন। সুস্থ থাকবেন। আলিঙ্গন নয়, পরস্পরের মধ্যে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখাই হল ‘নিউ নর্মাল’। দর্শনার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে না পুজোর ভোগপ্রসাদ। পুজোবাড়ির অন্দরে প্রবেশে স্বাস্থ্য সতর্কতার পাশাপাশি থাকছে নিয়ন্ত্রণ বিধির কড়াকড়ি। জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পুজোর ছন্দটাই যেন ওলোটপালট হয়ে গিয়েছে। যেখানে মিলনের উপরেই নিষেধাজ্ঞা, সেখানে উৎসব হয় কী করে?
২০২০ সালটা যে ভালো যাবে না, সেটা বিগত দশকেই আন্দাজ করে ফেলেছিলেন জ্যোতিষবিদরা। কারণ হিসেবে বলেছিলেন ২০২০-র ১২ জানুয়ারি শনি, বৃহস্পতি, বুধ, মঙ্গল ও রাহুর একই বক্রপথে চলে আশা, যা নাকি রীতিমতো আশঙ্কার। গ্রহের এই ফের নাকি এর আগে দেখা গিয়েছিল প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময়। আর ১৯৮০-র সাংঘাতিক অর্থনৈতিক মন্দার সময়। আর এই বছর গোটা পৃথিবী রোগশয্যায়। প্রত্যেক বাঙালির এখন একটাই আশা, মায়ের আগমনে যেন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে পারে যত রোগ, আবর্জনা, গ্লানি এবং দুঃখ। ফের নতুন ভাবে যেন বাঁচতে শিখতে পারে এই দুনিয়া।
ষাটোর্দ্ধ ব্যক্তিরা সচেতন থেকে এই বছরটা ঘরে থাকুন। পাড়ার পুজো সকাল–‌সকাল একবার দেখে আসুন। টেলিভিশনে চোখ রাখুন। সামনের বছর অনেক ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য এবার একটু সংযম দেখান। অপেক্ষাকৃত কম বয়সিরা নিজেদের নিরাপদ ভেবে বিপদ বাড়াবেন না। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা কয়েক মাস দিন–‌রাত এক করে লড়ছেন, আমাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকেই সংক্রামিত হয়েছেন। সেই চিকিৎসা–‌শক্তিকে চুরমার করে দেবেন না। ভুগতে হবে আমাদেরই। কোনও চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী পুজোর ছুটি উপভোগ করবেন না। ওঁদের ত্যাগের কথা মনে রেখে আমাদেরও একটু ত্যাগ করতে হবে। এ বারের পুজোর তিন মহামন্ত্র হোক: বুদ্ধি, সাবধানতা ও সংযম। ভরসা থাকুক স্যানিটাইজার, মাস্ক, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ে। তাই এ বছর আমাদের মনে রাখতে হবে পুজোয় কিছুটা আনন্দের সঙ্গে চাই অনেকটা সংযম। আমরা আনন্দপ্রিয় হতে পারি, কিন্তু তা বলে অবিবেচক কেন হব? তাই তো সিঁদুরের ফাগ উড়বে না এবার। দশভুজার দশ হাত থেকে সিঁদুরের ঝর্ণা ঝরবে না। লালে লাল করে রক্তিম প্লাবনে ভাসিয়ে দেবে না সারা বছরের গৃহবন্দি শিল-নোড়া-হাতা-খুন্তির শেকল। তবু নবমীনিশি পেরিয়ে সেই কুচো নিমকির গন্ধটা যেন টিকে থাকে। মন খারাপ করা গন্ধটাই জানান দেয়, ‘আসছে বছর আবার হবে।’ আসছে বছরে বিশ্বাস রাখুন।
পৃথিবী সেরে উঠুক। করোনা ভাইরাস দূর হোক। সামনের বছর আবার আসবেন মা। ততক্ষণ পুজো হোক ঘরে-ঘরে। মনে-মনে। নিষ্ঠায়। ভক্তিতে। আরাধনায়। মহামারীর সঙ্কটের মধ্যে এই রঙবেরঙের আলোর রোশনাই যেন আশার আলো, কোভিড-১৯ পৃথিবী থেকে দূর হতে আর দেরি নেই। এ বছর হল না। সামনের বছর নিশ্চয়ই হবে দুর্গোৎসব, বাঙালির মিলনের উৎসব। রাংতায় ঝিকিয়ে ওঠা আলো আর ত্রিপলের গন্ধে মেদুর পুজোর ছবি ফিরে আসবে আবার। নিশ্চিত। 
23rd  October, 2020
বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
স্বদেশীয়দের চাকরির বাজারকে সুরক্ষিত করতে ভিসা নীতি আরও স্পষ্ট করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এইচ-১বি জন্য দক্ষ বিদেশী কর্মীদের যাতে ব্যবসায়িক ভিসা না দেওয়া হয়, তার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬০৫: মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যু
১৯০১ – বিশিষ্ট বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক আব্বাসউদ্দিনের জন্ম
১৯০৪ – স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্র নাথ দাসের জন্ম
১৯২০ – ভারতীতের ১০ম রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ানানের জন্ম
১৯৭৭: শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারার জন্ম
১৯৮৪: ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের জন্ম
১৯৮৬: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.১২ টাকা ৯৮.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৭৬ টাকা ৮৮.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  October, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৪১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  October, 2020

দিন পঞ্জিকা

৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী ৩/১৩ দিবা ৬/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৪৯/২৯ রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/৪০/১৮, সূর্যাস্ত ৫/১/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। পূর্বাহ্ন ৬/৫৭ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। 
৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী দিবা ১১/৫৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৬/৫১। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২ গতে ১১/২২ মধ্যে। দিবা ৮/৩২ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন। রাত্রি ১০/৫৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা। 
৫ রবিয়ল আউয়ল। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?
মেষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: কর্মে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন 
১৬০৫: মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যু১৯০১ – বিশিষ্ট বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: ৮৮ রানে জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ 

11:00:00 PM

আইপিএল: দিল্লি ৯৬/৬ (১৫ ওভার) 

10:40:09 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৬/৪ (১১ ওভার) 

10:18:29 PM

আইপিএল: দিল্লি ৩৪/২ (৫ ওভার) 

09:48:54 PM