সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত শিশুটির বয়স ছ’মাস। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবার ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে দোমোহনির বাসিন্দা ওই দম্পতির মধ্যে তুমুল বচসা হয়। একসময়ে দম্পতি নিজেদের মধ্যে হাতিহাতি শুরু করে। এমনকী তারা একে অপরের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত স্বামী তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে। এতে স্ত্রী রক্তাক্ত হন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত স্বামী স্ত্রীর মারধরে চোট আঘাত পায়। তার মাথা ফেটে যায়। রাতের ওই ঘটনা এলাকার লোকজন জানতে পেয়ে তাদের বাড়িতে চলে আসে। আহত অবস্থায় দু’জনকেই স্থানীয়রা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের চিকিৎসা শুরু করেন। পরে মহিলাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে, তাঁর স্বামীর চিকিৎসা করতে এলে চিকিৎসক দেখেন তার চাদরের নীচে তাদের ছ’মাসের শিশুটি রয়েছে। নার্সরা চাদর সরিয়ে দেখেন, শিশুটি সজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেন শিশুটি মারা গিয়েছে। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাগুড়ি থানায় খবর দেয়। পুলিস এসে মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠায়। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে রাতভর এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকে। এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কয়েকজন ওই দম্পতির বাড়িতে তারা হামলা চালায়, ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। দোমোহনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণী রায় বলেন, আমি শুনেছি, ওই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই তুমুল বচসা হতো। ওই রাতেও তারা প্রথমে বচসা পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে যায়। কিন্তু এটা যে এমন জায়গায় পৌঁছবে তা ভাবাই যায় না। যদিও শিশুটির মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে। গ্রামের কিছু লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওদের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। এটা গ্রামবাসীরা ঠিক করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজেন্দ্র সরকার বলেন, আমরা রাতে ঘটনার কথা শুনতে পেয়ে ওই বাড়িতে যাই। দেখি মারাত্মক জখম অবস্থায় রয়েছেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। তাকে প্রথমে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। তবে শিশুটির এভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, শিশুটি কীভাবে মারা গেল তা তদন্ত সাপেক্ষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে। তবে প্রাথমিক অনুমান, বাবার সঙ্গে চাদরের নীচে ঢাকা থাকায় সম্ভবত শ্বাসরোধ হয়েই শিশুটি মারা যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাপেরবাড়ি ভিনরাজ্যে। তাঁরা এলেই সম্ভবত থানায় অভিযোগ জানাবেন।