Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় বিগ বাজেট কিংবা স্টার ক্লাবগুলির প্রস্তুতি, উদ্বোধন এখন দ্বিতীয়ার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তৃতীয়া থেকে নামে মানুষের ঠাকুর দেখার ঢল। পাঁচদিনের পুজোকে আমরা টেনে টেনে দিন দশেকে নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্য। এবার কিন্তু ‘প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন’ বলে বেরিয়ে পড়া যাবে না। ‘চুলোয় যাক করোনা। আমার কিসসু হবে না’ বলে যে সব অতি উৎসাহী ব্যক্তি নানা রকম পরিকল্পনা নিয়ে বেরিয়ে পড়ার স্কিম করেছিলেন, করোনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্যান্ডেল হপিংয়ে শৌর্য প্রদর্শন করবেন বলে কোমর বাঁধছিলেন, তাঁদের সেই মূর্খামির মুখের উপর ব্যারিকেড বসিয়ে দিয়ে যথার্থ কাজই করেছে হাইকোর্ট। বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার সংযতভাবে উৎসব পালন করার কথা বলে আসছিল, ডাক্তারবাবুরা বারবার করোনার সূচক বৃদ্ধির
আশঙ্কা করছিলেন, হাসপাতালে হাসপাতালে সেই আশঙ্কায় বাড়তি বেড রাখার কথাও বলা হচ্ছিল। এসব দেখে মনে পড়ছিল অসমের জাটিঙ্গার কথা। অদ্ভুত রহস্যজনক এক গ্রাম। যেখানে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি বছরের একটা বিশেষ সময়ে উড়ে আসে আত্মহননের নেশায়। সেই আত্মহননের মধ্যে কী কোনও আনন্দ লুকিয়ে থাকে? গবেষকরা আজও সেই রহস্যের সন্ধান করে চলেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে আশা করি অতি উৎসাহীরা সংযত হবেন। এবারের উৎসবকে শেষ পর্যন্ত জাটিঙ্গার মতো আত্মহত্যার উৎসব হতে দেব না, সেই প্রতিজ্ঞা আমাদের সবাইকে করতে হবে।
আমাদের বোঝা উচিত, করোনা নিঃশব্দে গেরিলার মতো ঘাপটি মেরে বসে আছে। এবার উৎসবের প্রাঙ্গণজুড়ে মৃত্যুর আলপনা। একটু বেচাল অবস্থা হলেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যাবে করোনার সংক্রমণ বিপ্লব। যে ভাইরাসকে আমরা তিল তিল করে
নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছি, সারা বিশ্ব যে রোগের
ওষুধ আবিষ্কারের জন্য মাথা কুটছে, তাকে আমরা উদ্দাম জমায়েতের মধ্য দিয়ে ওয়াকওভার পেতে দেব না। আর কয়েকটা মাস হয়তো আমাদের এভাবে চোয়াল চেপে এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত যেন তীরে এসে তরী না ডোবে। এই সচেতনতাটুকু কী আমরা প্রত্যাশা করতে পারি না? পুজোর শেষে বিসর্জনের সময় আমরা যেমন বলি, ‘আসছে বছর আবার হবে।’ সেটাই এবার আমরা পুজোর আগেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধভাবে বলি, ‘আসছে বছর বড় করে হবে।’ আসছে বছরে সেরার সেরা থিমের পুরস্কার আমরাই জিতব। আসছে বছর সেরা ইঁদুর বা সেরা পেঁচার পুরস্কার আমাদের জিততেই হবে।
এবার বৃহত্তর স্বার্থে সব দূরে থাক। পুজোটুকু হোক। সেখানে আমাদের অন্তরের স্পর্শটুকু লেগে থাকুক। এবার শুধু পুজো হোক, লকডাউন থাকুক উৎসবের লাগামছাড়া বহিঃপ্রকাশে।
সকাল দেখেই যেমন বোঝা যায়, দিনটা কেমন যাবে, তেমনই বাঙালির আত্মঘাতী স্বরূপে পুজোর বাজার দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এবার শারদোৎসব কেমন যাবে। আমাদের সামনে ভয়ঙ্কর উদাহরণ হয়ে আছে ওনাম উৎসব। আমরা সবাই জানি কেমন করে ওনামের পর কেরলে বেড়ে গেল করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শুধু পুজোর বাজারকেই বা দোষ দিই কী করে! সিপিএমের আন্দোলন আর বিজেপির নবান্ন অভিযান কম যায় কীসে? বিজেপির ওই অভিযান তো তবলিগি সমাবেশের আতঙ্ককেও হার মানিয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকে বিজেপির সাম্প্রতিক অভিযানের নিট ফল নেগেটিভ হলেও নিঃশব্দে করোনা সম্প্রসারণে সেটি পজিটিভ ভূমিকা নিয়েছে বলে অনুযোগ করাই যায়। তাই সমস্ত পরিস্থিতি বিচার করে হাইকোর্টের এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আশা করা যায়, ওই রায় আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তিকে অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। সেই সঙ্গে বলতে হয়, পুজোর আবহাওয়া নিয়ে পূর্বাভাসের কথা। আবহাওয়া দপ্তর পুজোর মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করেছে। বৃষ্টি হলে এবার সেটা শাপে বর হয়ে যাবে। বলা যেতে পারে, হাইকোর্টের রায় এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস, এমন রাজযোটকের আশীর্বাদে বাইরে বেরনোর উৎসাহ অনেকটাই কমতে পারে।
কিন্তু কোর্টের রায় কি সব? বাঙালি আবার একটু ভাবুক জাত। সেই সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। তাই সে অন্যরকম ভাবে। হাইকোর্টের রায়ে ‘নো এন্ট্রি’ তো মণ্ডপে। রাস্তায় তো নয়, সুতরাং পথ জুড়ে উৎসবে ভেসে বেড়ানোর লাগামছাড়া আচরণ লক্ষ্য করা যেতেও পারে। এগরোল, বিরিয়ানি, আইসক্রিম কিংবা ফুচকার মস্তি কি আর থাকবে না! লকডাউনে যাঁদের ঘরে আটকে রাখা যায়নি, থুতনিতে মাস্ক ঝুলিয়ে যাঁরা ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে’ বলে পাড়া বিজয়ে বেরিয়েছিলেন, পুলিসের সামনে কান ধরে ওঠবস করেও যাঁরা অসম্মানকে জয় করতে পেরেছিলেন, করোনা নিয়ে বড় বড় লেকচার দিয়েছিলেন, কিংবা পাড়ার মোড়ে চা খেতে গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলেন এবং পুজোর আগে বাজারে গিয়ে সব স্বাস্থ্যবিধি জলাঞ্জলি দিয়ে দেদার কেনাকাটা করেছেন, তাঁদের ঘরে আটকে রাখবে কোন আদালতের রায়! বেরিয়ে তাঁরা পড়বেনই। মণ্ডপ ফাঁকা থাকলেও রাস্তায় যে মানুষের ঢল নামবে না, তার গ্যারান্টি বাঙালি দিতে পারছে না। কিন্তু এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। এছাড়া আমরা করোনার অমিতবিক্রমকে রোধ করতে পারব না। যেভাবে দেবী দুর্গা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন, সেভাবেই আমাদের ভার্চুয়াল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পজিটিভ হওয়া থেকে বাঁচতে হবে। করোনা যেন রক্তবীজের দল। তাকে নিঃশেষ করার জন্য দেবীর আশীর্বাদ আমাদের কাম্য। আমরা দেবীর কাছে প্রার্থনা করে শাক্তগীতিকার দ্বিজ শম্ভুচন্দ্রের মতোই বলতে পারি, ‘কুদিন ঘুচে’ সুদিন কি আর হবে না!’ হবে, নিশ্চয়ই হবে। সেই সুদিনের প্রত্যাশাই ঘিরে থাকুক আমাদের।
তাই আজ যখন কার্তিকের ‘শারদপ্রাতে বেজে উঠছে আলোক মঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা। প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা। আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীম ছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নব ভাব মাধুরীর সঞ্জীবন। ’ তখন যেন আমরা সেই উৎসবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে সেই সঞ্জীবনকেই প্রকাশিত হতে দেখি। দেবী দুর্গার মধ্যে যে ব্যপ্ত তেজরাশির প্রকাশ, তা সেই সঞ্জীবনেরই প্রকাশমাত্র। সেই সঞ্জীবনসুধা আমাদের অমৃত দান করে। তিনি দুর্গা। তিনি শক্তির আধার। তিনি অদ্বিতীয় চৈতন্যরূপিণী। কিন্তু কেন তিনি দুর্গা? চণ্ডীতে আছে শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করার পর দেবতাদের বরদানের সময় দেবী দুর্গা বলেছিলেন, ত্রিলোকে অসুররা যখনই উৎপাত করবে, তখনই আমি আবির্ভূত হব এবং সেই বিপদ থেকে সকলকে উদ্ধার করব। আর দুর্গম নামে এক অসুরকে বধ করে আমি দুর্গা নামে খ্যাত হব। প্রাচীনকালে রুরু অসুরের পুত্র দুর্গমাসুর কঠোর তপস্যায় ব্রহ্মার কাছ থেকে অজেয়ত্ব এবং কোনও পুরুষের হাতে নিহত না হওয়ার বর লাভ করেন। এই বরে মত্ত হয়ে দুর্গমাসুর দেবতাদের স্বর্গচ্যূত করেন। দেবতারা শিবের শরণাপন্ন হন। দুর্গমাসুর ছিলেন মহা বলবান। মায়াবী অসুর দেবীর সঙ্গে যুদ্ধের সময় মায়াঝড় সৃষ্টি করে আকাশপথে যুদ্ধ করতে থাকেন। নানারূপ ধারণ করে দুর্গমাসুর দেবীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাগলেন। একবার করে দেবী তাঁকে আঘাত করেন আর ক্ষণে ক্ষণে দুর্গমাসুর রূপ বদল করতে থাকেন। অবশেষে দেবী দুর্গমাসুরকে বধ করলেন। দেবী বললেন, ‘অদ্য প্রভৃতি মে নাম দুর্গেতি খ্যাতিমেষ্যাতি।’ আজ থেকে আমার নাম দুর্গা বলে খ্যাত হবে। তিনি আরও বললেন, ‘ন তেষাং দুর্গতিঃ ক্কচিৎ।’ যে দুর্গার শরণ নেবে, তার কখনও দুর্গতি হবে না। দেবী দুর্গা তাই দুর্গতিনাশিনী। আজ এই অতিমারীর কালে তাঁকে আহ্বানের মধ্য দিয়ে, পুজোর মধ্য দিয়ে আমরা যেন চৈতন্যলাভ করি। যে প্রাজ্ঞচৈতন্যের মধ্য দিয়ে এই জগৎকে সুন্দর করে গড়ে তোলা যায়, এই জগৎকে ভালোবাসার আধার করে গড়ে তোলা যায়। ‘যা দেবী সর্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীয়তে। নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমোনমঃ।’ তিনি হলেন চৈতন্যের আধার। তাঁর অসীম চৈতন্যের দীপ্তির কণিকা স্পর্শ করুক আমাদের। সেই চৈতন্যই হোক দেবীপূজার প্রকৃত প্রসাদ।
21st  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

23rd  October, 2020
বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
স্বদেশীয়দের চাকরির বাজারকে সুরক্ষিত করতে ভিসা নীতি আরও স্পষ্ট করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এইচ-১বি জন্য দক্ষ বিদেশী কর্মীদের যাতে ব্যবসায়িক ভিসা না দেওয়া হয়, তার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬০৫: মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যু
১৯০১ – বিশিষ্ট বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক আব্বাসউদ্দিনের জন্ম
১৯০৪ – স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্র নাথ দাসের জন্ম
১৯২০ – ভারতীতের ১০ম রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ানানের জন্ম
১৯৭৭: শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারার জন্ম
১৯৮৪: ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের জন্ম
১৯৮৬: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.১২ টাকা ৯৮.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৭৬ টাকা ৮৮.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  October, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৪১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  October, 2020

দিন পঞ্জিকা

৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী ৩/১৩ দিবা ৬/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৪৯/২৯ রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/৪০/১৮, সূর্যাস্ত ৫/১/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। পূর্বাহ্ন ৬/৫৭ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। 
৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী দিবা ১১/৫৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৬/৫১। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২ গতে ১১/২২ মধ্যে। দিবা ৮/৩২ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন। রাত্রি ১০/৫৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা। 
৫ রবিয়ল আউয়ল। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?
মেষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: কর্মে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন 
১৬০৫: মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যু১৯০১ – বিশিষ্ট বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: ৮৮ রানে জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ 

11:00:00 PM

আইপিএল: দিল্লি ৯৬/৬ (১৫ ওভার) 

10:40:09 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৬/৪ (১১ ওভার) 

10:18:29 PM

আইপিএল: দিল্লি ৩৪/২ (৫ ওভার) 

09:48:54 PM