সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
অন্যান্যবার চতুর্থী থেকেই ইংলিশবাজারের রাস্তা সেজে ওঠে আলোকসজ্জায়। এবার মহাষষ্ঠীতেও শহরের রাস্তায় তেমন আলোক তোরণের দেখা মেলেনি। শোনা যায়নি পুজোর গানও। লাউড স্পিকারের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ পুজো কমিটিই সংযত ছিল। সংযম দেখা গিয়েছে পুজো নিয়ে মেতে ওঠা নাগরিকদের মধ্যেও।
অনেকেই জানিয়েছেন, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে না ঘুরে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সুরক্ষাবিধি মেনে ঘরোয়া আড্ডা আর আলাপচারিতাতেই কাটাবেন এবারের পুজো। তবে প্রায় সকলেরই নজর থাকবে টিভি কিংবা স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। তাঁদের বক্তব্য, এবার বেশিরভাগ কমিটিই পুজো করছেন অত্যন্ত সাধারণভাবে। থিমের বাহার নেই। নেই চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা। দেখার মতো তেমন কিছুই নেই। তবে মহাষষ্ঠীর দিন সকালে বেশ কিছু অল্পবয়সীকে দেখা গিয়েছে হেঁটে বা বাইকে চেপে ঘুরে বেরিয়েছেন এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায়। আবার এই পরিস্থিতিতেও রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পুজো দেখেছেন কিছু মানুষ। তবে মণ্ডপে প্রবেশাধিকার না থাকায় তাঁরা তিনদিক খোলা মণ্ডপের প্রতিমা দর্শন সেরেছেন গাড়িতে বা বাইকে বসেই।
এদিন বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের আশেপাশে গুটিকয়েক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যাঁদের সঙ্গে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ছিল, তাঁরা অনেকেই ভিড় এড়াতে দুপুরেই বেরিয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে। যদিও সেই সংখ্যাটা মোটেও বেশি ছিল না। শহরের মণ্ডপগুলির সামনে নো এন্ট্রি বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। দূর থেকেই বালুরঘাটের কচিকলা অ্যাকাডেমি, অভিযাত্রী ক্লাবের মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখে বাড়ি ফিরেছেন দর্শনার্থীরা। ষষ্ঠীর বিকেলে টোটো চেপেও কয়েকটি পরিবারকে ঠাকুর দেখতে বের হতে দেখা গিয়েছে। এমনই পরিবারের এক সদস্য বলেন, মনে হচ্ছে অষ্টমী ও নবমীতে ভিড় হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ভিড়ের মধ্যে যেতে চাই না। তাই আগে আগেই ঠাকুর দেখে নিলাম। এই কয়েকদিন আর বাড়ি থেকে বেরব না।
ইংলিশবাজার ও বালুরঘাটের মতোই উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জেও মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় তেমন ভিড় লক্ষ্য করা গেল না। এদিন পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম সর্তকতা জারি থাকলেও, রাস্তায় খুব একটা লোক বের হননি। যদিও রাতের দিকে একটু ভিড় বাড়ে।
শহরের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় ভিড় সামলাতে লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে। পৃথকভাবে দর্শনার্থীদের আসা যাওয়ার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। শহরের রাস্তায় যান চলাচল ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের দেহশ্রী মোড়, বিবিডি মোড়, ফোয়ারা মোড়, বিদ্রোহী মোড়, বিধাননগর মোড়ে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি পালন করার জন্য নানা জায়গায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে। পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে আমরা সমস্তরকম সহযোগিতার জন্য আবেদন করেছি।
তবে এদিন রাস্তায় যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই মুখে মাস্ক পরে বেরিয়েছিলেন। এমন সচেতনতা পুজোর বাকি দিনগুলিতেও বজায় থাকলে স্বস্তিতে থাকবে প্রশাসন।