সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে এপারে পুজো দেখতে প্রচুর মানুষ আসে। কয়েক বছর আগেও অষ্টমী ও নবমীর দিন সীমান্তের কাঁটাতারের গেট দর্শনার্থীদের জন্য অলিখিতভাবে খুলে দেওয়া হতো। ওপারের দর্শনার্থীরা এপারে এসে হিলি, বালুরঘাটের পুজো ঘুরে দেশে ফিরে যেতেন। পাশাপাশি অনেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে ২০০-৫০০ টাকা দিয়ে পারাপার করত। এখনও অনেকে দালালের মাধ্যমে পুজো দেখতে আসে। অনেকে ফিরে গেলেও কেউ কেউ আবার থেকে যায়। তবে এবছর অনেক আগে থেকেই বিএসএফ কড়া নজরদারি শুরু করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় ভরসা ছিল একমাত্র বৈধভাবে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে এপারে আসা। কিন্তু করোনার জেরে এবছর ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে দর্শনার্থীরা আসতে পারবেন না। ফলে পুজো উদোক্তারা কিছুটা হতাশ।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি শিপ্রা রায় বলেন, প্রতি বছর হিলি ইমিগ্রেশন পুজোর মধ্যে খোলা থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর দর্শনার্থী পুজো দেখতে এপারে আসেন। অনেকে হিলিতে পুজো দেখে ওপারে চলে যান। কেউ আবার কয়েক দিন থেকে পুরো জেলার পুজো দেখে বাড়ি ফিরে যান। তবে এই বছর করোনার জেরে ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় দর্শনার্থীরা বৈধভাবে আসতে পারবেন না। বিএসএফের ১৯৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার এ কে তেওয়ারি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুজোর মধ্যে যাতে কেউ এপারে অবৈধভাবে না আসতে পারে, সেদিকে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বাড়তি জওয়ান সীমান্তে দিনরাত টহলদারি চালাচ্ছেন।
হিলির বিপ্লবী সঙ্ঘের সম্পাদক গণেশ সাহা বলেন, আমাদের হিলির পুজো জেলাবাসীর কাছে একপ্রকার আবেগ। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে দর্শনার্থীরা বৈধভাবে এসে পুজো মণ্ডপে ভিড় করেন। তবে এবছর ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকার কারণে তাঁরা আসতে পারবেন না। বিষয়টি আমাদের মতো পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে হতাশার ব্যাপার। ত্রিমোহিনীর অমর ফ্রেন্ডস স্টাফের সম্পাদক সুজন ঘোষ বলেন, ওপার বাংলার দর্শনার্থীরা বৈধভাবে এসে আমাদের পুজো মণ্ডপে ভিড় জমাতেন। একাংশ দর্শনার্থী অবৈধভাবেও আসতেন। তবে এখন অনুপ্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের দর্শনার্থীরা আর সেভাবে ভিড় করেন না।
হিলি ব্লক সদরের বিপ্লবী, সীমান্ত শিখা, যজ্ঞতলা, উদয়ন সঙ্ঘের পুজো অন্যতম। প্রতি বছর দর্শনার্থীদের মন জয় করতে তারা অভিনব কিছু করে। তবে এবছর করোনার জেরে বাজেটে অনেক কাটছাঁট করতে হয়েছে। প্রতি বছর বৈধ ও অবৈধভাবে এসে বাংলাদেশি দর্শনার্থীরা এসব বিগবাজেটের পুজোয় ভিড় করেন। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে কয়েকমাস ধরে হিলির ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ। এমতাবস্থায় বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে কোনও দর্শনার্থীরা আসতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হতে পারে। এমনকী এই সুযোগে জঙ্গিরাও প্রবেশ করে নাশকতা চালাতে পারে। তাই সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে বিএসএফ। পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে পুলিসও। প্রতীকী চিত্র