অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
রাজ্য সড়ক দখল করে ধান-ভুট্টা শুকানো বেআইনি কাজ। তবুও একশ্রেণীর কৃষক জায়গার অভাবে রাস্তার উপরই সেসব ফসল শুকাচ্ছেন। রতুয়া-ভালুকা, রতুয়া-বাহারাল, গাজল-সামসিগামী রাজ্য সড়কের বিভিন্ন অংশে এভাবেই ধান শুকানো হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। রাস্তার উপরে ধান, ভুট্টা ইত্যাদি পড়ে থাকলে একে তো গাড়ি চলাচলের জায়গা কমে যায়। তার উপর আবার অনেক সময় সেসবের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা পিছলেও যায়। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের বিডিওর ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর সেজেলায় প্রশাসন রাস্তায় ফসল শুকানো রুখতে অভিযান শুরু করলেও, মালদহ জেলায় কিন্তু এমন কোনও পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। রতুয়া থানার ওসি কুণালকান্তি দাস বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি কেউ রাজ্য সড়কজুড়ে রাস্তার উপরে ধান শুকাতে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নাকিরউদ্দিন বলেন, এলাকার অনেক কৃষকের জায়গার সমস্যা রয়েছে। ফসল ফলালেও সেই ফসল শুকাতে দেওয়ার মতো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে তারা রাস্তার উপর ধান, ভুট্টা শুকাচ্ছে। তবে এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। এই নিয়ে প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত। আমরা যদি সেইসব কৃষকদের বোঝাতে যাই, তাহলে অনেক সময়েই উল্টে বিবাদ বেঁধে যায়। সমস্যার সমাধান হয় না। তাই আমরা, স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে এসব দেখে এলেও কিছু বলতে পারি না। সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের পবনকুমার দাস বলেন, এলাকার অনেক চাষি রাস্তার উপর দিয়ে ধান ভুট্টা শুকাচ্ছে। আমার কাছে অনেকেই এব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তবে এর মধ্যে ভগবানপুরে আমি নিজে গিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে বারণ করে এসেছি। তারা এখন আর রাস্তার উপর ধান শুকাচ্ছে না। আমরা পঞ্চায়েতের তরফ থেকে রাস্তার উপরে ধান ভুট্টা শুকানো নিয়ে সবাইকেই সচেতন করেছি। যেন আগামী দিনে এই ধরনের ভুল কেউ আর না করে। কারণ এর ফলে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রতুয়া ব্লকের এক চাষি গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা সাধারণত রাস্তার উপরে কোনও ফসল তুলি না। এইবার বৃষ্টির কারণে বাড়ির উঠোন স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। তাছাড়া উঠোনে জায়গাও কম। এই জন্যই রাস্তার উপরে ধান মেলে দিয়েছিলাম। তবে আর এইভাবে রাস্তার উপরে ধান রাখব না। - নিজস্ব চিত্র