অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
প্রসঙ্গত, প্রায় ৩০ বছর আগে বহরমপুর-বর্ধমান ভায়া কান্দি-ভরতপুর হয়ে শেষবারের মতো সরকারি বাস চলাচল করেছে। সেইসময় মাত্র দু’টি বাস চলাচল করত। কিন্তু কয়েক বছর পর ওই রুটের সরকারি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বহু বছর ধরে ওই রুটে সরকারি বাস চালুর দাবি জানিয়ে এসেছেন। নেতা-মন্ত্রী সবার কাছেই বাস চালুর আবেদন জানানো হয়। ভরতপুরের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা অসিতবরণ দত্ত বলেন, এই রুটে সরকারি বাস চালুর জন্য বহুবার আবেদন জানানো হয়েছে। কলকাতায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ রফিকুল হাসান জানান, ওই রুটে বাস চালুর জন্য আবেদন করা হলেও কাজ হয়নি। কান্দি নিত্যযাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রভাকর দত্ত বলেন, ওই রুটে কেন সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ হয়েছিল আজও আমাদের অজানা। এদিকে লকডাউনের আগে কান্দি, সালার ও ভরতপুর এলাকার কিছু যাত্রী উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের কাছে ফের একবার ওই রুটে বাস চালুর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তবে গত রবিবার হঠাৎ করে ওই রুটে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের একটি বাস চলতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা অবাক হয়ে যান। বাসটি বহরমপুর থেকে কাটোয়া পর্যন্ত দিনে দু’বার করে যাতায়াত করছে। এতে এলাকার বাসিন্দারা খুশি।
স্থানীয় বাসিন্দা আরোজ শেখ, শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বলেন, অবশেষে প্রায় ৩০ বছর পর এই রুটে সরকারি বাসের দেখা মিলল। এবিষয়ে অপূর্ববাবু বলেন, করোনা পরিস্থিতির জেরে যাত্রী সমস্যা ও বেসরকারি বাস চলছে না দেখে আমরা ওই রুটে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই বাসে যথেষ্ট যাত্রী পাওয়া গেলে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হলে আগামী দিনে ওই রুটে একটি নয়, প্রয়োজনে তিনটি বাসও চলাচল করতে পারে। তবে বেসরকারি বাস সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেই আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।