অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, এদিন রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রবিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালের অদূরে একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে বসেছিল রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক। সামাজিক দূরত্ব মেনে বৈঠক করার জন্যই হাসপাতালের বাইরে প্রথম এধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রথম পর্যায়ে জেলায় করোনা চিকিৎসায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল এই হাসপাতাল। করোনা রোগীর চিকিৎসা থেকে নমুনা সংগ্রহ সবই হতো একমাত্র আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তাই সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল পূর্ব নির্ধারিত আপৎকালীন নয়, এমন অপারেশনগুলি। কিন্তু বর্তমানে দুর্গাপুরে করোনা হাসপাতালে চলছে করোনা রোগীদের চিকিৎসা। এছাড়াও আসানসোলে পৃথক একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। যদিও এখনও জেলা হাসপাতাল থেকে বহু সংখ্যক নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। তবু এই পরিস্থিতিতে পূর্ব নির্ধারিত অপারেশনগুলি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনা পরীক্ষা করে অপারেশন করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ট্রুনেট মেশিন ছাড়াও আরও উন্নত মেশিন দেওয়ার দাবি উঠেছে। যাতে অনেক বেশি সংখ্যক নমুনা রিপোর্ট জেলা হাসপাতাল থেকেই পাওয়া যায়। হাসপাতালের সার্জন নির্ঝর মাজি বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এছাড়াও ইমার্জেন্সি থেকে সুপারস্পেশিলিটির বিল্ডিং পর্যন্ত করিডর গড়া, ট্রমা সেন্টার চালু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারই মাঝে উঠে এসেছে আসানসোল জেলা হাসপাতালের মাতৃযান পরিষেবা প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গত, আগের বৈঠকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল মাতৃযান পরিষেবাটিকে একটি সংস্থা কুক্ষিগত করে রেখেছে। অন্যরা গাড়ি দিতে চাইলেও তা পারছে না। সেই সময়ে এনিয়ে টেন্ডার করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে তা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রীর দাবি, এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে অন্যান্যরাও মাতৃযান হিসেবে গাড়ি দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।