অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার পর জমি তৈরি করে গাঁজার চারা রোপণ করা হয়। তার মাসখানেক আগে বীজতলায় চারাগাছ বড় করা হয়। মাথাভাঙা মহকুমার শুধু নিশিগঞ্জেই গাঁজা চাষ হয় না। মাথাভাঙা-১ ব্লকের হাজরাহাট-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানসাই নদীর চর এলাকাতেও কয়েকশো বিঘা জমিতে এই চাষ হয়। এই অবৈধ চাষের সঙ্গে রাজনৈতিক মদত যেমন জড়িয়ে রয়েছে তেমনি রয়েছে পুলিস প্রশাসনের মদতও। যেমন বিগত বাম আমলে শীতলকুচির ভাঐরথানা ও ছোটশালবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে হতো। অভিযোগ, বাম আমলের এক প্রভাবশালী নেতার দৌলতে প্রকাশ্যে গাঁজা, আফিম চাষ হতো। পরবর্তীতে পুলিসি তৎপরতায় তা বন্ধ হয়। এই চাষে পাচারকারীরা টাকা বিনিয়োগ করে। তারাই নেতা থেকে পুলিস সব সামলে নেয়। পুলিস লোক দেখানোর জন্য অভিযান করে কিছু গাঁজা গাছ কেটে দেয়। কয়েক হাজার বিঘা গাঁজার ২৫ শতাংশও তারা কাটতে পারে না।
স্থানীয়দের দাবি, পুলিস ইচ্ছা করলে সমস্ত গাঁজা চাষ বন্ধ করতে পারে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না বড় মাথারা থাকার কারণে। কখন পুলিস আসবে, কোন দিক দিয়ে আসবে সবটাই আগাম জেনে যায় এই অবৈধ চক্রের মাথারা। যার ফলে লকডাউন শুরু হওয়ার পর গত দু’মাসে জলপাইগুড়ি, চ্যাংরাবান্ধা, শিলিগুড়ি সহ নিশিগঞ্জ এলাকায় ১০ কুইন্টালেরও বেশি গাঁজা পুলিস উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় ভিনরাজ্যের কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সিল থাকার পরও কী করে ভিনরাজ্যের এই বাসিন্দারা জেলায় চলে আসছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। একই সঙ্গে সত্যি কি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে গাঁজা এনে এই রুট দিয়ে পাচার করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখানকার গাঁজা সিতাই, শীতলকুচি, দিনহাটা দিয়ে বাংলাদেশেও পাচার হয়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে দেশের অন্যপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশি তৎপর পাচারকারীরা। এটাই ভাবাচ্ছে পুলিস আধিকারিকদের।
এব্যাপারে মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, নিশিগঞ্জে বিগত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে গাঁজা গাছ নষ্ট করার জন্য অভিযান করা হয়েছে। হাজরাহাট-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতেও এই অভিযান করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া পাচারকারীদের অনেকেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি এখানকার গাঁজার সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যের গাঁজা পাচারের জন্য এই রুট পাচারকারীরা ব্যাবহার করছে। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা চলছে।