Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিসেব মেলানো ভার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাত দু’গুণে কত হয়? উঁহু, ১৪ নয়। আপনি কখন বলছেন, তার উপর নির্ভর করছে। মানে, কাকেশ্বর কুচ্‌কুচে যদি মনে করে, আপনি বলার সময় ১৩ টাকা ১৪ আনা ৩ পাই হয়েছিল... মানে পুরোপুরি ১৪ হয়নি, তাহলে সেটাই। অর্থাৎ, হাতে একটা পেনসিল থাকছেই।
মনে হতেই পারে, হঠাৎ হ য ব র ল’র অবতারণা কেন? লকডাউনের পঞ্চম পর্বে এসে তেমনই একটা দশা আমাদের হয়েছে। মোক্ষম একটা প্রশ্ন বাজারে ঘুরছে... লকডাউন ফাইভ, নাকি আনলক ওয়ান? আসলে কোনটা? আর তার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে মিমে—নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভাবনা-চিন্তার ওঠাপড়া নিয়ে। যখন আক্রান্ত ৫০০, লকডাউন এবং করোনা ঠেকানো নিয়ে সরকারের চিন্তার অন্ত ছিল না। আর যখন দেশে সংক্রমণ ১ লক্ষ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে, তখন তালা খোলার ব্যস্ততা! প্রশ্ন আরও একটা রয়েছে... নরেন্দ্র মোদিজি কোথায়? প্রথম প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে দেখা যেত। গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা থাকলেই প্রাইম টাইম রাত ৮টা। আর গোটা দেশের বুক দুরদুর শুরু। না জানি এবার কী বন্ধ হয়! লকডাউনের নাটকীয় ঘোষণাও ছিল ২৩ মার্চ রাত ৮টায়। কিন্তু ২৯ মে তারিখে প্রধানমন্ত্রী কোথায়? দেশ ‘আনলক’ হতে চলেছে... অথচ তাঁর দেখা নেই? মানে, তাঁর মন্ত্রিসভা বা কাছেপিঠের লোকজন অবশ্যই দেখা পাচ্ছেন, এক বছরের ‘মোদি সরকার ২.০’র জয়গান গাইছেন... কিন্তু মানুষ তাঁকে প্রাইম টাইমে দেখতে পাচ্ছে না। যার দরকার ছিল।
লকডাউনের ঘোষণা ছিল পরিকল্পনাবিহীন। মানুষ গুছিয়ে নিতে পারেনি, সরকারও না। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ঘরে কীভাবে রেশন পৌঁছবে, কীভাবে কালোবাজারি ঠেকানো যাবে, কী করেই বা ঘরে ফিরবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা? উত্তর খুঁজতে কালঘাম ছুটেছে রাজ্যগুলির। একদিকে গবেষকরা প্রতিষেধক আবিষ্কারের পাশাপাশি নিত্যনতুন টুপি-জুতো উদ্ভাবন করে সামাজিক দূরত্বর বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীরা ভাবছেন, দারিদ্রসীমার নীচে থাকা কোটি কোটি মানুষের পেটের ভাত কীভাবে জুটবে। এও কিন্তু এক পাহাড়প্রমাণ কাজ। যার ইতি এবং নেতি, দু’ধরনের দিকই রয়েছে। ইতিবাচক দিক—প্রথম এবং প্রধান, কর্মহীনতার দিনগুলোতে কাউকে না খেয়ে মরতে হবে না। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের পরিধি এবং ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ায় এই শ্রেণীর মানুষের হাতে টাকা থাকবে। তাঁরা কেনাকাটা করতে পারবেন। অর্থাৎ বাজার থেকে পণ্যের চাহিদা ঝটিতি পড়ে যাবে না। এবার নেতিবাচক—প্রথমত, কাদের সত্যিই এই বিনা পয়সার খাবার প্রয়োজন, তার হিসেব করা সম্ভব নয়। পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকা হওয়া সত্ত্বেও দু’টাকা কেজি চালের জন্য প্রযোজ্য রেশন কার্ড বগলদাবা করে রেখেছেন। ব্যাপক অভিযান চালানো পরও এই শ্রেণী ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, পরিযায়ী যে শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরছেন, তাঁদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করা। ধরে নেওয়া যাক, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্রে কাজ করতে যান। অর্থাৎ, তাঁরা ওই রাজ্যে থাকেন, খরচাপাতি করে সেখানকার অর্থনীতিতে অবদান রাখেন, টাকা উপার্জন করেন এবং সমস্যা হলে বাড়ি ফিরে আসেন। এখানে আছে বলতে একটি ভোটার বা আধার কার্ড। অথচ, অধিকাংশ সময় ভোটেও তাঁদের পাওয়া যায় না। এরপরও একটা কথাই চিরন্তন সত্য, এই শ্রেণীটাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে বিপুল ভূমিকা পালন করে। তারা কাজে না নামলে গুরুগ্রাম-নয়ডার নির্মাণশিল্প জোগানদার পাবে না, গুজরাতের সোনার দোকান ১৮ ঘণ্টা নাগাড়ে বসে থাকা সোনাশিল্পী পাবে না, কাশ্মীরের ব্যবসায়ীদের আপেল পাড়ার শ্রমিক মিলবে না। এবং সর্বোপরি উৎপাদন শিল্প উঠে দাঁড়ানোর যে সামান্য স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়িত হবে না। আমি যদি দেখি, সামান্য কাজ করে বাড়ি বসেই ১০০ দিনের কাজের টাকা পেয়ে যাচ্ছি এবং রাজ্য সরকারের অনুগ্রহে চাল-ডালটাও বিনামূল্যে হেঁশেলে ঢুকে পড়ছে, তাহলে আর গতর খাটানোর প্রয়োজন কোথায়? কাজ ব্যাপারটাও কিন্তু অভ্যাস। সেটা যদি চলে যায়, ফিরিয়ে আনা কঠিন। ‘আনলক ১’-এর শুরুতে যাবতীয় উৎপাদন এবং নির্মাণশিল্প চালু করার যে উদ্যোগ দেখা দিয়েছে, তার সবটাই কিন্তু এই একটি ট্র্যাকে এসে মুখ থুবড়ে পড়বে। উৎপাদন ক্ষেত্র শুধু লকডাউনে নয়, তার অনেক আগে থেকেই ধুঁকছে। ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের বৃদ্ধির হার গত তিনটি ত্রৈমাসিকে ছিল যথাক্রমে, মাইনাস ০.৬ শতাংশ, মাইনাস ০.৮ শতাংশ এবং মাইনাস ১.৪ শতাংশ। তার বেশিরভাগটাই অবশ্য বাজার অর্থনীতির পতনের জন্য। ১ জুন থেকে তালা খোলার যে পর্ব শুরু হয়েছে, তাতেও কিন্তু এই উৎপাদন ক্ষেত্র ধুলোটুলো ঝেড়ে উঠবে বলে মনে হয় না। এর জন্যও দরকার ছিল যথাযথ পরিকল্পনা। যা এই সরকার এবারও করে উঠতে পারেনি। ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা মাথার উপরের লোকজন দিয়ে কারখানা বা নির্মাণকাজ চলে না। তাঁরা বলবেন কী করতে হবে। আর কর্মীরা কাজ করবে। পরিযায়ী শ্রমিকরা যদি ‘হাঁটা’ ছেড়ে দেন, তাহলে এই কাজগুলো করবে কে?
তাই ধন্দটা তৈরি হয়েছে। এবং প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। আজকের তারিখে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে বড় সত্যিটা হল, আনলক করার দরকার ছিল। গাড়ি স্টার্ট না দিলে যেমন ব্যাটারি বসে যায়, দেশের অর্থনীতিও তেমন। চালু রাখতে হবে। চাকা গড়াতে হবে। এই প্রক্রিয়া চাই। যা চাই না তা হল, ধন্দ। একদিকে কেন্দ্র বলবে, রাজ্যগুলিকে ক্ষমতা দিলাম... ওরা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিক। আবার নির্দেশনামা জারি করবে, এর বাইরে যাওয়া যাবে না। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্তরে যা দরকার, সেটা হল, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। তা কিন্তু এখনও হচ্ছে না। প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সংস্থাগুলি কাজ কীভাবে করাবে, তার কোনও দিশা নেই। প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু আগের অর্থসাহায্য সর্বত্র ঠিকমতো পৌঁছনোর অভিযোগ যায়নি। ১ জুলাই থেকে এমএসএমই ঋণ পাবে। মানে আবেদন করা যাবে। লোন করতে আগ্রহী সংস্থাগুলি কিন্তু এরপরও আশঙ্কা করছে, ঠিকঠাক জায়গায় ঋণের টাকাটা পৌঁছবে তো?
গাড়ি ছুটতে শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম। সরকারি বাস, ক্যাব, অটো...। নিয়ম কোথাও মানা হচ্ছে। কোথাও হচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাঁরা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকছেন, ধৈর্যের সীমা তাঁদের বাঁধ ভাঙছে। বাস থামিয়ে বাদুড়ঝোলা হয়েই রওনা দিচ্ছেন তাঁরা গন্তব্যের উদ্দেশে। আর কেউ কেউ এমনও আছেন, যাঁরা এতকিছুর পরও বাসে উঠতে পারছেন না। তাঁদের জন্য কোনও আলাদা বাস বা ট্রেনের ব্যবস্থা নেই, যা আছে সরকারি কর্মীদের জন্য। সেইসব বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীরা কেউ হেঁটে, কেউ বা সাইকেলে চেপে আসছেন দূর দূরান্ত থেকে। বাড়ির আশপাশের লোকজন অস্পৃশ্যের মতো আচরণ করছেন তাঁদের সঙ্গে। এঁদের জন্যই না নরেন্দ্র মোদি মোমবাতি জ্বালাতে, থালা বাজাতে বলেছিলেন! এঁরাই না আমাদের ‘করোনা যোদ্ধা’! মানুষ পাশে দাঁড়াচ্ছেন না তাঁদের, শুধু আদিখ্যেতা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গী আতঙ্ক। রাস্তায় বেরলে অবশ্যই সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। কিন্তু তা ছাড়া উপায় কী? প্রতিষেধকের আশায় বসে থাকলে যত বছর সময় লাগবে, তাতে অর্থনীতি বলে আর কিছুই বেঁচে থাকবে না। লক্ষ লক্ষ মানুষের অনাহারে মৃত্যু তো হবেই, তারপর আমাদেরও আর গুহামানবের আমলে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
কাজেই মিম ছড়িয়ে লাভ নেই। আমাদের শরীরেই ইমিউনিটি তৈরি করতে হবে। যাঁদের শরীরে করোনা বাসা বাঁধা সত্ত্বেও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না, তাঁরা কিছুটা হলেও সেই প্রবণতার দিকে এগচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাটা নগণ্য। মোট জনসংখ্যার ৬০-৭০ শতাংশ যদি একটা রোগে আক্রান্ত হয়, তবেই ধীরে ধীরে ফ্লু জাতীয় রোগের ক্ষেত্রে ইমিউনিটি তৈরি হতে পারে। এটা অবশ্যই সমাধানসূত্র নয়। এটা আত্মসমর্পণ। একটি মহামারীর কাছে। তাহলে উপায় কী? এলাকার পর এলাকা উজাড় হয়ে যাবে না... আবার মানুষ না খেয়েও মরবে না। দায়িত্বটা সরকারের। শুধু ‘আনলক’ করলেই হবে না। নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। খালি পেটে সচেতনতার ক্লাস হয় না। সতর্কতাও মানবজমিন থেকে কর্পূরের মতো উবে যায়।
প্রকৃতি আজ কঠিন অঙ্ক এক কষতে দিয়েছে। সাত দুগুণে ১৪... এই হিসেবটাই মেলাতে হবে। দ্রুত। আর সেটা করতে হবে নির্বাচিত সরকারকেই। সময় কিন্তু একেবারেই বেশি নেই।
02nd  June, 2020
ব্যর্থতার নামাবলি গায়ে
মোদিজির বর্ষপূর্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

 লকডাউনের চারটে ইনিংস শেষ করে আমরা ঢুকে পড়েছি প্রথম আনলক সিজনে। করোনা বিধ্বস্ত আমাদের জীবন বইতে শুরু করেছে এক নতুন খাতে। মাত্র কয়েক মাসেই আমাদের জীবনের সামগ্রিক চালচিত্র ম্যাজিকের মতো বদলে গিয়েছে।
বিশদ

সতর্ক প্রহরী
পি চিদম্বরম

ব্যারিস্টার ভি জি রো মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাম-মনস্ক উদার। সমস্ত ধরনের বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জ্ঞান, রাজনৈতিক শিক্ষা এবং শিল্প, সাহিত্য, নাটক প্রভৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি পিপলস এডুকেশন সোসাইটি গড়েছিলেন।
বিশদ

01st  June, 2020
একটু সময় দিন,
পাশে দাঁড়ান
হিমাংশু সিংহ

বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। ভেসে গিয়েছিল একের পর এক জেলা, দক্ষিণবঙ্গের বড় বড় শহর। কলকাতাও রেহাই পায়নি সেই বিপর্যয়ের হাত থেকে।
বিশদ

31st  May, 2020
বিশ্বাসযোগ্যতা ও বলিষ্ঠ
পদক্ষেপের এক বছর
রাজনাথ সিং

যে কোনও দেশের ইতিহাসে পাহাড়প্রমাণ পরিবর্তন দেখার সুযোগ খুব কমই আসে। ২০১৪ সালে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকমই একটি বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। দেশের মানুষ দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন।
বিশদ

30th  May, 2020
বন্দি যখন শিশুমন
তন্ময় মল্লিক

 ‘উফ, আর পারা যাচ্ছে না। কবে যে মুক্তি পাব?’ ‘কতদিন বাজার যাইনি। এইভাবে দমবন্ধ অবস্থায় থাকা যায়?’ ‘দিনরাত গাধার খাটুনি খাটছি। তার উপর তোদের জ্বালাতন। এবার ঠাস ঠাস করে চড়িয়ে দেব।’ লকডাউনের গৃহবন্দি জীবনে এমন সংলাপ আজ প্রায় ঘরে ঘরে।
বিশদ

30th  May, 2020
বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশদ

29th  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

28th  May, 2020
‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
একনজরে
  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিতে প্রথম পর্যায়ে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য কৃষি দপ্তর। মোট ৯টি জেলার জন্য এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি জেলায় কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টরের (প্রশাসন) কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার ...

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে রোগীর চাপ কমানোর জন্য আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা সারি হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল করা হচ্ছে? স্বাস্থ্য দপ্তর পরিষ্কার করে কিছু না বললেও জেলাজুড়ে এই চর্চা শুরু হয়েছে।   ...

মিনিয়াপোলিস, ২ জুন (এপি): জর্জ ফ্লয়েডকে কাবু করতে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন মিনিয়াপোলিসের শ্বেতাঙ্গ পুলিস আধিকারিক। তাতেই কৃষ্ণাঙ্গ ওই যুবকের মাথায় রক্ত সঞ্চালন সম্পূর্ণ বন্ধ ...

 তুরিন, ২ জুন: করোনার ধাক্কা সামলে ইউরোপের বাকি দেশগুলির মতো ইতালিও লিগ শুরুর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল। ঠিক ছিল, ১৩ জুন মাঠে বল গড়াবে। তবে শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে ২০ জুন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় চূড়ান্ত সূচি জানিয়ে দিল সিরি-এ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব সাইকেল দিবস
১৯০৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বিপ্লবী গোপাল সেনগুপ্তর জন্ম
১৯১৯: টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী ছায়া দেবীর (চট্টোপাধ্যায়) জন্ম
১৯২০: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবিদ তথা গবেষক অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৪: রাজনীতিক এম করুণানিধির জন্ম,
১৯৫৩: মনোবিদ গিরীন্দ্রশেখর বসুর মৃত্যু,
১৯৮৬: টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের জন্ম
২০১৩: অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু
২০১৬: মার্কিন বক্সার মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৪ টাকা ৭৬.০৬ টাকা
পাউন্ড ৯২.৭৪ টাকা ৯৬.০৬ টাকা
ইউরো ৮২.৪৮ টাকা ৮৫.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৩ জুন ২০২০, বুধবার, দ্বাদশী ১০/২৫ দিবা ৯/৬। স্বাতী নক্ষত্র ৩৯/২৯ রাত্রি ৮/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/২১, সূর্যাস্ত ৬/১৩/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৪ গতে ১১/৭ মধ্যে পুনঃ ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে।
২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৩ জুন ২০২০, বুধবার, দ্বাদশী দিবা ৭/২০। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি৭/৪৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৫/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৩ মধ্যে ও ১১/৫৯ গতে ১/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৫ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে।
১০ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: আধ্যাত্মিক চর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা বৃদ্ধি। বৃষ: প্রেমে সাফল্য, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব সাইকেল দিবস১৯০৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বিপ্লবী গোপাল সেনগুপ্তর জন্ম১৯১৯: ...বিশদ

07:03:20 PM

নয়াদিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৫১৩
নয়াদিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৫১৩ জনের শরীরে ...বিশদ

09:37:03 PM

রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত আরও ৩৪০
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪০ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:23:00 PM

পাকিস্তানে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪,০৬৫ ও মৃত ৬৭ 
পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ ...বিশদ

07:40:47 PM

কেরালায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৮২ 
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরালায় করোনা আক্রান্ত হল আরও ৮২ ...বিশদ

07:29:31 PM