অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
মাথাভাঙা-২ ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের ব্লক আধিকারিক নীলরতন হালদার বলেন, চালে কিছু পোকা রয়েছে ঠিকই, তবে তা নষ্ট হয়নি। তবে আমরা ডাল একেবারে নতুন দিয়েছি। ওই কেন্দ্রের অভিভাবকরা অভিযোগ জানানোয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতে ডাল পোকা ধরা রয়েছে। ওই ডাল ওই কর্মী কোথায় পেলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এনিয়ে ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রাজ্য সরকারের নির্দেশে করোনার জেরে লকডাউন চলায় প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের মাথাপিছু দুই কেজি চাল,৭০০ গ্রাম ডাল এবং দুই কেজি আলু দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু করাও হয়েছে। মাথাভাঙা-২ ব্লকের উনিশবিশা গ্রামপঞ্চায়েতের হরিমন্দির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মঙ্গলবার সামগ্রী বিতরণের সময় স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন সম্পূর্ণ পোকা ধরা ডাল দেওয়া হচ্ছে। চালেও পোকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এনিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দাবি করেন এধরনের চাল, ডাল সরবরাহ করা হয়েছে। যদিও ব্লক সুসংসহত শিশু বিকাশ দপ্তরের তরফে জানানো হয় প্রতিটি কেন্দ্রে নতুন ডাল দেওয়া হয়েছে। পোকাধরা ডাল থাকার কথা নয়। ওই কর্মী হয়ত অন্য কোনও জায়গা থেকে ডাল নিয়ে এসে বিলি করছিলেন। স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পরই এলাকায় গিয়ে ডাল ও চালের নমুনা সংগ্রহ করেন প্রকল্পের আধিকারিক। স্থানীয়দের জানানো হয়েছে আগামী দু’দিনের মধ্যে ভালো ডাল সবাইকে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় এদিন গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, গত মাসেও মাথাভাঙা-২ ব্লকের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্নমানের চাল, ডাল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে চাল, ডাল পরিবর্তন করে দেওয়া হলেও অভিযুক্ত কর্মীরা পার পেয়ে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা না নেওয়ার ফলেই বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। এধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের কড়া শাস্তি দিতে হবে।