বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের এক সহকারী সুপারের প্রথমে করোনা পজিটিভ ও পরে নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এদিন হাসপাতালে ওই সহকারী সুপারের অফিস ঘর প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজ করা হয়।
ওএসডি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের চা বাগানগুলির কী অবস্থা, সেই বিষয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। চা বাগানে হোম কোয়ারেন্টাইন মানার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলি বৈঠকে জানিয়েছে। তাই আমরা কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইনের কথা বলেছি। ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেড জোনের তালিকার বাইরে রয়েছে এমন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকবেন। চা বাগানে অনেক শ্রমিকেরই নিজেদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই চা বাগানের স্কুল বা অন্য কোনও জায়গায় এ ব্যবস্থা করে তাঁদের রাখা হবে। বাগানগুলিই এটা চালাবে। বাগান ম্যানেজমেন্ট থাকা, খাওয়ার খরচ দেবে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি আমার দেখব। জলপাইগুড়িতে একজন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা ধরা পড়েছিল। তবে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় তা নেগেটিভ এসেছে। এটা স্বস্তির হলেও আমরা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছি।
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং প্রচুর চা বাগান রয়েছে। ওইসব বাগানের অনেক শ্রমিকই ভিনরাজ্যে কাজ করেন। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর লকডাউনের কারণে তাঁদের কাজ বন্ধ থাকায় অনেকেই গ্রামে ফিরে আসছেন। যাঁরা রেড জোনে থাকা রাজ্য থেকে ফিরে আসছেন, তাঁদের নিয়ম মেনে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু যাঁরা রেড জোনের বাইরের রাজ্য থেকে আসছেন তাঁদের নিয়ম অনুসারে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু চা বাগানের বহু শ্রমিকের বাড়িতে বা কোয়ার্টারে এমন পরিকাঠামো নেই যে ওই ব্যক্তি আলাদা একটি ঘরে দিন কয়েক থাকবেন। ফলে অনেককেই পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চা বাগান এলাকায় কিছুটা হলেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। সেই কারণেই কমিউনিটি কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বাগানের স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে নেওয়া যায় কি না, তা স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন দেখছে।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সহকারী সুপারের কোভিড পজিটিভ এসেছে সেটি গত ২১ মে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। ২১ মে’র পরে তাঁর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল বলে তিনি আবার ২৩ মে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ২১ মে’র রিপোর্ট দেরিতে আসায় পরের রিপোর্টই গ্রাহ্য করা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি। তবে যেহেতু আগের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল, তাই সব ধরনের সর্তকতামূলক ব্যবস্থাও স্বাস্থ্য দপ্তর গ্রহণ করছে।