বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
চারেরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা গঙ্গা মণ্ডল, সাধন দে ভৌমিক বলেন, ঝড়ে আমাদের ঘরের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। ওসব এনে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছি। কিন্তু প্রায়ই বৃষ্টিতে ঘরে থেকেও ভিজতে হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে ত্রিপল দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ আমাদের এখনও পর্যন্ত ত্রিপল দেয়নি। ত্রিপলের দাবি নিয়েই এদিন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে আসি। কিছু লোক ধৈর্য হারিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
পঞ্চায়েত সদস্য আলপনাদেবী বলেন, গত সপ্তাহের ঝড়ে এলাকার ৩০০’র বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা আমি জানি। ২৭ মে আমাকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে মাত্র ১০০ খানা ত্রিপল দেওয়া হয়। সেই ত্রিপল টোটোতে নিয়ে আসার পথে দুষ্কৃতীরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রশাসনকে জানাই। প্রধান পরবর্তীতে ৭৫টি ত্রিপল দেন। ওসব বণ্টন হয়েছে। যাঁরা পাননি তাঁরাই আসছেন। আমি নিরুপায়। ত্রিপলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। আমি ওঁদের দাবিতে সহমত। আমিও চাই প্রশাসন আরও ত্রিপলের ব্যবস্থা করে দিক।
আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের দিলীপ রায় বলেন, আমি যতদূর জানি কোনও ত্রিপল ছিনতাই হয়নি। স্থানীয় কিছু লোক টোটো থেকে ত্রিপল নামিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিলি করে দিয়েছে। ওই বিলি করা ত্রিপল কারা পেয়েছেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে। পরবর্তীতে আমি ৭৫টি ত্রিপল পাঠিয়েছি। ওই ত্রিপলের হিসেব নেওয়া হবে। ফের আমরা ত্রিপল পাঠাব।
মাঝেমধ্যেই এখন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তাই দিনে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে। রাতে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় তাঁরা চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাই ত্রিপল বণ্টনের দাবি উঠেছে।