অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
ভুক্তভোগী ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা ভাঙা থাকায় আগে থেকেই সমস্যা হচ্ছিল। এখন বৃষ্টি হচ্ছে, তাই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। আগে রাস্তা দিয়ে গাড়ি বা মোটর বাইক গেলে ধুলো উড়ত। এখন বৃষ্টির জন্য গোটা এলাকা জলকাদায় ভরে আছে। বর্ষায় আরও দুর্ভোগ বাড়বে। ভাঙা রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা হচ্ছে। আমরা আশঙ্কায় আছি। তাই দ্রুত রাস্তা মেরামত করে দেওয়া উচিত।
তুফানগঞ্জ পুরসভা বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় দ্বিতীয় একটি রিজার্ভার বসিয়েছে। ওই রিজার্ভার থেকে জল সরবরাহ করার জন্য সম্প্রতি শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের ভিতর রাস্তা খুঁড়ে নতুন করে পাইপ লাইন বসায়। লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই পুরসভা ওই পাইপ লাইনগুলি বসায়। কিন্তু এখনও ওই রাস্তাগুলি ভাঙা অবস্থাতেই পড়ে আছে।
পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সিপিএমের নিত্যেন্দ্রচন্দ্র দত্ত বলেন, পুরসভা কাজটি ঢিলেমি করলেও আমরা সরাসরি ওদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছি না। লকডাউন পরিস্থিতির জন্য রাস্তা সংস্কারের কাজ আটকে রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, ওরা জানিয়েছে লকডাউন উঠলেই কাজে হাত দেওয়া হবে। তবে আমরা বলেছি, যাতে লকডাউন ওঠার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কাজটা শেষ করা হয়। পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, পাইপ লাইন বসানোর কাজ যারা করেছে, তারাই রাস্তা মেরামত করে দেবে এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা যায়নি।
তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক অনন্তকুমার বর্মা বলেন, লকডাউন চলছে। তাই বাইরে থেকে নির্মাণ সামগ্রী আনা যাচ্ছে না। যদিও এখন লকডাউন শিথিল হয়েছে। আমরা ওসব নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আশা করি, রাস্তা বানানোর সামগ্রী চলতি মাসেই চলে আসবে।
আগে তুফানগঞ্জ পুরসভার একটিমাত্র জলের রিজার্ভার ছিল। পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডে দিনে তিনবার করে পানীয় জল সরবারহ করতে গিয়ে ওই রিজার্ভারের উপর চাপ পড়ছিল। তাই একটি নতুন রিজার্ভারই বসানো হয়েছে। দ্বিতীয় ওই রিজার্ভার থেকে পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ডে জল দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভিতরে বিভিন্ন অলিগলি খুঁড়ে পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ হলেও রাস্তাগুলি আর মেরামত করা হয়নি। যা নিয়েই ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে।