ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কৃষকরা বলেন, প্রতিবেশী রাজ্য অসমে শাকসব্জি পাঠিয়ে প্রতিবছর আমরা লাভের মুখ দেখতাম। কিন্তু এবার যে কী হবে জানা নেই। খেতেই রোদে সব্জি ঝলসে যাচ্ছে। জলও ঠিকমতো দিতে পারছি না। বেশি দিন এভাবে খেতে সব্জি পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। সব্জি বিক্রি করেই ব্যাঙ্কঋণ মিটিয়ে চাল, ডাল কেনার পাশাপাশি ফসলের বীজ ক্রয় করি। কিন্তু এবার যে কী হবে কে জানে।
কামাখ্যাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষি উপ সমিতির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের বলেন রায় বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। ওঁদের সমস্যা নিয়ে আমি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।
তৃণমূলের কিষাণ খেত মজুর সংগঠনের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি ধনঞ্জয় সাহা বলেন, আলু ছাড়া অন্যান্য কাঁচা সব্জি বাড়িতে বেশিদিন রাখা যায় না। সব্জি বিক্রি করতে না পেরে ব্লকের অনেক কৃষক আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন। অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন। তাঁদের সমস্যার বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।
কুমারগ্রামের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কয়েকজন কৃষক এসেছিলেন। আমি তাঁদের বলেছি, ওপর মহলে সবটা জানানো হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের বরাবরই উন্নতমানের শাকসব্জি হয়। এখন অধিকাংশ জমিতেই বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, উচ্ছে, ঝিঙে, বিনস ফলে আছে। তাছাড়া প্রত্যেক কৃষকই তাঁদের জমিতে কমবেশি আলু চাষ করেছিলেন। ওই ফসলগুলি তাঁরা পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকাররা কাঁচা সব্জি প্রতিবেশী রাজ্য নিম্নঅসমের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু লকডাউন চলায় অত্যাবশকীয় পণ্যবাহী ভারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি চলছে না। যার ফলে ওদিকে থেকে যেমন কোনও পাইকার আসছেন না তেমনি স্থানীয় পাইকাররাও গাড়ির অভাবে তা কিনছেন না। এর ফলে খেতেই পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে শাকসব্জি।
কুমারগ্রাম ব্লকের চাষিদের উৎপাদিত শাকসব্জি নিম্নঅসমের গোসাঁইগাঁও, বঙ্গাইগাঁও, সেরফাংগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় যায়। কিন্তু লকডাউনের জন্য ব্যবসায়ীরা আর আগের মতো কাঁচা শাকসব্জিগুলি গাড়িতে বোঝাই করে নিয়ে যেতে পারছেন না।