কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডেই বহু রাস্তা খারাপ রয়েছে। ওই সব ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন ধরে হয়নি। অথচ পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডের রাস্তা সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। ওই টাকায় সব ওয়ার্ডেই কিছু কিছু রাস্তা সংস্কার করা যেত। আমরা রাস্তা সংস্কারের দাবি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছে যাব। জেলাশাসকের কাছেও যাওয়া হবে। চলতি সপ্তাহেই আমরা এই বিষয়ে আন্দোলনে নামব।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং বলেন, পুরসভার বেশকিছু ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের জন্য পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো আছে। তার অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে। টাকা এলেই রাস্তা সংস্কারের কাজে আমরা হাত দেব। তবে আমার ও ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডের রাস্তার অবস্থা আগে থেকেই বেহাল ছিল। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকেই ওই দুই ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কার করার কথা ছিল। সেই কাজই সম্প্রতি করা হয়েছে। এবার রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে ওসব জায়গার অর্থ বরাদ্দ কম ধরা আছে। অন্য ওয়ার্ডে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ ধরা আছে। কাজ শুরু হলেই বিরোধীরা সবটা দেখতে পারবে। শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য বিরোধীরা এসব কথা বলছে।
কোচবিহার শহরের বড় রাস্তাগুলি দেখলে বোঝাই যাবে না যে শহরের ভিতরের বহু রাস্তা একেবারে বেহাল হয়ে রয়েছে। ওসব রাস্তা যে দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার করা হয় না তা বোঝাই যায়। শহরের ১, ৩, ৭, ১০-১২, ১৫, ১৮-২০ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলি সব থেকে ভেঙেচুরে আছে। তাছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্টু দাস পল্লি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান হাইস্কুলের সামনের রাস্তা, নেতাজি কলোনি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকার রাস্তা খানাখন্দে ভরা ও বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। একইভাবে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী কলোনি, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি রোড, মসজিদপাড়া, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীবাড়ি সহ আরও বেশ কিছু ওয়ার্ডের বহু রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, শহরের এত রাস্তা খারাপ থাকতে পুরসভার চেয়ারম্যানের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ভাইস চেয়ারম্যানের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। অথচ শহরের প্রায় সব ওয়ার্ডের ভিতরেই বহু রাস্তা অনেক দিন ধরে ভেঙে চুরমার হয়ে রয়েছে। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুরসভা এলাকার রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তার অনুমোদনও মিলেছে। কিন্তু এখনও কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। ওই অর্থ বরাদ্দ হলেই রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।