কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত চাঁদমণি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম এবং ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই চরম কোন্দল শুরু হয়েছে। এলাকা উত্তপ্ত হয়েই আছে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেও এলাকায় বোমাবাজি হয়। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ঘটনার পিছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা চাঁদমণি হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি মহম্মদ তাজিবুর রহমান বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের মদতে স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য তার দলবল নিয়ে পরিকল্পতভাবে বোমা-গুলি নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। সে সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। যে কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। বাড়ির দেওয়ালে বোমা মারা হয়েছে। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সকালে আমার স্ত্রী এসনারা বিবি ঘটনাটি নিয়ে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। কী কারণে হামলা বলতে পারছি না। তবে যতটুকু জানি আমি মাদ্রাসার সেক্রেটারি হওয়ার পর থেকেই আমার প্রতি আক্রোশ বেড়েছে। চাঁদমনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের রবিউল ইসলাম বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা পেমেন্ট নিয়ে একটা গণ্ডগোল হয়েছে। বাকিটা সাজানো ঘটনা। কারও বাড়িতে বোমাবাজি হয়নি। কিছু লোক তৃণমূলের আড়ালে অন্য দলের হয়ে কাজ করছে। দলকে এবিষয়ে জানানো হয়েছে।
রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার মহম্মদ হেসামুদ্দিন বলেন, পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে একটা গণ্ডগোল রয়েছে। সেখানে কী হয়েছে বিষয়টা আমার জানা নেই। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নেব। দলের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়টি দেখা হবে। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর বলেন, চাঁদমণিতে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বোমাবাজি নিয়ে কেউ অভিযোগও করেনি। যদি কিছু হয়ে থাকে সেখানে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত চাঁদমণি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজের বরাত পাওয়া ও পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল চলছে। এনিয়ে একাধিকবার পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও হয়। লোকসভা ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজের চার লক্ষ টাকা নিয়ে তৃণমূল নেতা তাজিবুর রহমানের সঙ্গে দলেরই একাংশের বিবাদ শুরু হয়। লেবার পেমেন্ট নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার বিবাদ বাধে। বৃহস্পতিবার রাতে এনিয়ে একপ্রস্থ বোমাবাজি এলাকায় হয়েছে। তারই জেরে শুক্রবার আরেক পক্ষের উপর হামলা হয়। হামলাকারীরা তৃণমুল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি করে। তিনটি বোমা ফাটেনি। রাতেই পুলিস সেগুলি উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনায় পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।