হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভারী বৃষ্টির সময় ঢোকসা নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে নেয়। এখন ক্যানেলের মতো করে নদীর জল বাসিন্দাদের বাড়ির উঠান এবং কৃষি জমির মধ্যে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ঢোকসা নদীর বাঁধ দেওয়ার জন্য নতুনভাবে পরিকল্পনা না করলে আগামীদিনে মহাবীর লাইন ও নয়াবস্তির কোনও চিহ্ন থাকবে না। ময়নাবাড়ি, কাঞ্জলিবস্তি এবং কার্তিক চা বাগানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরএসপি’র আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দীপক দাস বলেন, কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক-২ নদী পাড় ভাঙায় জয়দেবপুর মৌজায় সেচদপ্তরের স্পার ভেঙে গিয়েছে। এতে নদী সংলগ্ন এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঢোকসা নদীটিকে বাঁধ দিয়ে ধাওলাঝোরা নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলা দরকার। তবে সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে।
কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্জুলা লামা বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির মনিটরিং সেল ইতিমধ্যেই ব্লকের বিভিন্ন নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। সেচদপ্তরের আধিকারিকদের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছে। ভাঙনের বিস্তারিত রিপোর্ট ওই সেল সেচদপ্তরে পাঠিয়েও দিয়েছে। নদীগুলির ভাঙন আটকানোর জন্য আশা করি সেচদপ্তর দ্রুত কোনও পদক্ষেপ করবে।
জেলা সেচদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরজকুমার সিং বলেন, সংরক্ষিত এলাকাগুলিতে নদী ভাঙনের কোনও সমস্যা নেই। অসংরক্ষিত এলাকায় কোথায় কোথায় নদীর পাড় ভাঙছে সেব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। বর্ষাকাল শেষ হলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক-২ নদীর ভাঙনে ইতিমধ্যেই জয়দেবপুর মৌজায় বেশকিছু চাষের জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। তুরতুরিখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোকসা নদীর উপর সেচ দপ্তরের বাঁধ সম্প্রতি ভেঙে গিয়েছে। ওই বাঁধ ভাঙার ফলে ময়নাবাড়ির মহাবীর লাইন এবং নয়া বস্তির বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঢোকসা নদীর বাঁধ ভেঙে নদীর জল ওই দু’টি গ্রামে ঢুকে যাওয়ার ফলে চাষের জমিতে পলি পড়ে গিয়েছে। জমিতে থাকা ধান, সব্জির ক্ষতি হয়েছে।