হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
রোমহর্ষক সাড়া জাগানো এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সোনাদার গ্রামে। বনদপ্তর ও আশাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে হঠাৎই পাকা বাড়ির নীচতলায় আশাদেবীরা মুরগির চিৎকার শুনতে পান। তিনি সিঁড়ে বেয়ে নীচে নামতেই দেখেন ঘরের মধ্যে একটি বিশাল আকারের একটি চিতাবাঘ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিতাবাঘটি আশাদেবীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আশাদেবীর চিৎকার চেঁচামেচি করতেই ঘরের উপর তলা থেকে লাফ দিয়ে নীচে নামে তাঁদের পোষ্য টাইগার। টাইগার রীতিমতো চিতাবাঘটির উপর হামলে পড়ে। পরিবারের বাকি লোকেরা একে একে নামতেই চিতাবাঘটি বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয়। প্রাণে বেঁচে যান আশাদেবী।
জখম আশাদেবীর মেয়ে প্রীতি লামা বলেন, আমাদের পোষ্য কুকুর টাইগার আমাদের কাছে ভগবান তুল্য। টাইগার না থাকলে মা হয়তো বাঁচত না। মা এখন সুস্থ আছেন। শিলিগুড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলছে। টাইগার রীতিমতো চিতাবাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। সেও সামান্য জখম হয়েছে। আমরা বনদপ্তরকে এলাকায় নজর রাখতে অনুরোধ করেছি।
বনদপ্তরের সোনাদার রেঞ্জার উত্তম প্রধান বলেন, চিতাবাঘের হামলায় জখম সোনাদার বাসিন্দা আশাদেবী হয়েছেন। সোনাদার জঙ্গলে এবং চা বাগানগুলিতে প্রচুর চিতাবাঘ, হরিণ আছে। আশাদেবীর বাড়িতে চিতাবাঘের হামলার পর ওই গ্রামে আমরা বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে দিয়েছি। বনকর্মীদের টহলদারিও বাড়ানো হয়েছে। ওসব সিসিটিভিতে চিতাবাঘ ধরা পড়লে খাঁচা পাতা হবে। গ্রামে যাতে রাতবিরেতে কেউ একা না চলাফেরা করেন সেব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যেই প্রচার চালিয়েছি।