হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
মৃতের স্ত্রী মিনু খাতুন বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে রাতে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু শুক্রবার দিনভর তিনি বাড়িতেই ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টায় কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত ১১টা নাগাদ দেখি স্বামী বাড়ি ফেরেনি। দাদাকে ফোন করতে বলি। তিনি ফোন করেন। কিন্তু ফোন তোলেননি। এর পরেই পরিবারের সকলে মিলে খোঁজাখুজি শুরু করি। অনেক রাতে সেতুর উপরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল শনিবার সকালে ওই পাড়ায় যান। তিনি বলেন, রাতে গ্রামের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করে সেতুর উপরে রাজ্জাকের মৃতদেহ পেয়েছে। তাঁর কানের কাছে তিনটি গুলি করা হয়েছে। তাঁকে কেউ নিশ্চয়ই মোবাইলে ফোন করে ডেকে নিয়ে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি পুলিসকে বলব যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করতে হবে। এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলেই গুলি চলেছে। অস্ত্র উদ্ধার করার দরকার আছে। ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে গুলি করে খুন করা হয়েছে। আমরা কিছু প্রমাণও পেয়েছি। ফোনের কল লিস্ট চেক করা হচ্ছে। অভিযুক্তরা শীঘ্রই গ্রেপ্তার হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল, গুলি, গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। এসব থেকে অনুমান করা হচ্ছে রাজ্জাক ওই স্থানে কয়েকজনের সঙ্গে মদের আসরে বসেছিল। তারপর তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাজ্জাক একটু বদমেজাজি প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। সামান্য কারণেই রেগে যেতেন। মাঝেমাঝে পাড়ার কারও না কারও সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হতো। কয়েকদিন থেকে অবশ্য কোনও ঝগড়া হয়নি। ওই ঝগড়া থেকে কেউ তাঁকে খুন করবে এমনটা হতে পারে না বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে সাধারণ একজন ভ্যান চালককে গুলি করে খুন করার কারণ কী হতে পারে? এই প্রশ্নই বাসিন্দাদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাঁদের দাবি, ইসলামপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামান্য কারণেই গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটছে। এই অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিস প্রশাসনের বিশেষ অভিযান চালানো উচিত।