হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বিধায়ক জগদীশবাবু বলেন, লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপি সিতাইতে দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। এদিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে আমাদের পার্টি অফিস পুনর্দখল করেছি। সিতাইয়ে যেসমস্ত জনপ্রতিনিধি ও দলীয় কর্মীকে ওরা জোর করে দলে টেনেছিল তারা একে একে সকলেই আমাদের দলে ফিরবেন। আজকে পুরনো অনেকেই দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, এদিন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে বিধায়কের নেতৃত্বে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়। সিতাইয়ের সাধারণ মানুষ লোকসভা ভোটে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। এটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। বিধানসভা ভোটেও আমরা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখব।
তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা ভোটে তারা ধরাশায়ী হতেই বিজেপি এলাকা দখলে নামে। সিতাইয়ে একটার পর একটা পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর লুটপাট করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। দলীয় কর্মীদের মারধর, বাড়িতে লুটপাট করেছে। বিজেপির লাগামহীন সন্ত্রাসের জন্য বিধায়ক দীর্ঘদিন গ্রামে নিজের বাড়িতে ঢুকতে পরেননি। তাঁর স্ত্রী সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতাদেবীও স্বামীর সঙ্গে বাড়িছাড়া ছিলেন। গোটা সিতাইয়ে বিজেপি দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিজেপি সন্ত্রাসের ভয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা দলবদল করতে শুরু করেন। সিতাইয়ের এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই তামাকহাটির মাঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কোচবিহারের সংসদ সদস্য নিশীথ প্রামাণিক সভা করেন। তাঁদের পরামর্শে বিজেপি কর্মীরা শান্ত হন। কিছু দিন আগেই সিতাইয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন জগদীশবাবু। কিন্তু তিনি একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে থাকেন। তবে গৃহবন্দি থাকলেও কী করে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করা যায় সেনিয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেন। এদিন বিজেপির দখলে যাওয়া পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করে সেটাই তিনি করে দেখালেন।
এদিন তিনি লোকজন নিয়ে মিছিল করে আচমকাই বাজারে হাজির হন। বিশাল মিছিল ঘিরে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। একসময়ে বিজেপিতে যাওয়া কর্মীরা জগদীশবাবুর মিছিলে উপস্থিত হয়ে জোড়াফুলের ঝাণ্ডা হাতে নেন। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল থেকে বোমাবাজি করা হয়। সিতাই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করে জগদীশবাবু দলীয় পতাকা তোলেন। সেখানে থাকা বিজেপির পতাকা তিনি নিজে হাতে খুলে ফেলেন।
অন্যদিকে মাথাভাঙা শহরে এদিন তৃণমূল মিছিল করে। শুক্রবারের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিনই মিছিল করে থানায় গিয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু তার আগে তৃণমূলের মিছিল হওয়ায় এদিন তারা পিছিয়ে যায়। মাথাভাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবারের ঘটনায় এদিন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা আলিজার রহমান বলেন, বিজেপির কী কর্মসূচি ছিল জানি না। শুক্রবারে আমাদের পার্টি অফিসে ওরা ভাঙচুর করে। তারই প্রতিবাদে মিছিল করেছি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, আমরা থানায় মিছিল করে গিয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু গণ্ডগোলের আশঙ্কায় আমরা পিছিয়ে এসেছি। এরমধ্যেই থানায় যাব।