পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ এবং রতুয়া ১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে ত্রাণ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ আসছে। তবে প্রশাসনের দাবি, প্লাবিত এলাকাগুলিতে যথাসম্ভব ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ত্রাণ দেওয়া হবে।
নদী সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দাদের আশঙ্কা, কয়েকদিন ধরে ফের লাগাতার বৃষ্টি চললে ফুলহারের হ্রাসমান জলস্তর মাথা চাড়া দেবে। তাই আগে থেকেই অনেকেই উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুরের ভাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও এক মাদ্রাসা শিক্ষক জিয়াউর রহমান বলেন, ফি বছর প্লাবিত হওয়ার কারণে এখানকার মানুষের অবস্থা অনেকটা ঘরপোড়া গোরুর মতোই। এলাকা প্লাবিত হতে শুরু হলেই বন্যার আশঙ্কা ঘিরে ধরে। যত বেশি সম্ভব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্যদ্রব্য, আনাজ সঞ্চয় করতে থাকেন। ইতিমধ্যেই এলাকায় আলু, চালের মতো রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লাবিত এলাকা সংলগ্ন ভাকুরিয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়েছেন আশঙ্কিত বাসিন্দাদের একাংশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলহার নদীর জলস্তর ছিল ২৮.১৫ মিটার। চরম বিপদসীমার (২৮.৩৫ মিটার) থেকে কিছুটা নিচে নামলেও বিপদসীমার (২৭.৪৩ মিটার) এখনও অনেকটা উপর দিয়েই বইছে ফুলহার। তবে জল ধীরে ধীরে কমায় আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিকে মালদহের মহানন্দা নদীর জলস্তর বিপদসীমা থেকে মাত্র এক মিটার নিচে থাকায় পুরাতন মালদহ শহরের নদী পাড়ের বাসিন্দারা উদ্বেগে রয়েছেন। হু হু করে জল বেড়ে যাওয়ায় অসংরক্ষিত এলাকার পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দাদের ২০১৭ সালের বন্যার স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে। নদী পাড়ের নাগরিকদের আশঙ্কায় এভাবে জল বৃদ্ধি পেলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সংরক্ষিত এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে অসংরক্ষিত এলাকায় জল উঠতে শুরু করেছে। পুরাতন মালদহ সহ ইংলিশবাজার শহর লাগোয়া অসংরক্ষিত এলাকায় বহু বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়ে গিয়েছে।
সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মহানন্দার জলস্তর ছিল ২০ মিটার। বিপদসীমা হচ্ছে ২১ মিটার। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, মহানন্দার জল বাড়লেও এখনও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। প্রতিদিনই আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। সমস্যা হলে মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
পাশাপাশি, অনিশ্চিত আচরণ করছে গঙ্গাও। কখনও জল বাড়লেও শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থিতিশীল ছিল মাণিকচকঘাটে গঙ্গার জলস্তর। বিপদসীমার (২৪.৬৯ মিটার) এখনও বেশ কিছুটা নিচেই রয়েছে গঙ্গা (২৩.৪৮ মিটার)। শুক্রবার জেলায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃষ্টি কয়েকদিন থমকে থাকলে ক্রমশ জল তিনটি নদীতেই কমবে বলে ধারণা বাসিন্দাদের।