সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
শুরুটা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর লালগ্রহ অভিযান ‘হোপ’ দিয়ে। তাদের মহাকাশযান মঙ্গলে পৌঁছয় গত ৯ ফেব্রুয়ারি। তারপর নাসার বহুচর্চিত রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’ ও তার দোসর ‘ইনজেনুইটি’ কপ্টার ছোঁয়ে লালগ্রহের মাটি। বর্তমানে দু’জনেই লালগ্রহে একের পর এক মাইলস্টোন গড়ে চলেছে। এবার পালা চীনের তিয়ানওয়েন-১ ল্যান্ডারের।
ইতিমধ্যেই মঙ্গলের কক্ষপথে নিজেকে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করে ফেলেছে তিয়ানওয়েন-১। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মঙ্গলের চারপাশে চড়কিপাক দিচ্ছে সে। বিজ্ঞানীদের হিসেব অনুযায়ী, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিয়ানওয়েন-১ থেকে রোভার ‘ঝুরং’ মঙ্গলে অবতরণের চেষ্টা করবে। চীনা ভাষায় ঝুরং শব্দের অর্থ ‘আগুনের দেবতা’।
আকারে নাসার দুই রোভার ‘স্পিরিট’ এবং ‘পারসিভিয়ারেন্স’-এর মাঝামাঝি সারণীতে পড়বে ঝুরং। যার পেটের মধ্যে রয়েছে ৬টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। মঙ্গলে অবতরণের পর চারপাশে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করবে চীনের এই রোভার। তারপর সেগুলি বিশ্লেষণ করে লালগ্রহের মাটি ও আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করবে সে। এর পাশাপাশি মঙ্গলের মাটির তলায় বরফেরও সন্ধান করবে ঝুরং। পরম্পরাগত ভাবেই এবারও এই অভিযান নিয়ে বেশিকিছু খোলসা করতে রাজি হয়নি বেজিং। তবে, তাদের অতীতের অভিযানগুলি দেখে আন্তর্জাতিক মহাকাশবিজ্ঞানীরা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন। মনে করা হচ্ছে, ১৭ মে নাগাদ ঝুরং ৪ কিমি/সেকেন্ড গতিতে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। তারপর গতি আরও কিছুটা কমলে খুলে যাবে তার প্যারাশুট। একদম শেষে অবতরণের জন্য রকেটের থ্রাস্ট ইঞ্জিনগুলি চালু হবে। গোটা অবতরণ প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও বাধা না আসে তার জন্য লেজার প্রযুক্তি থেকে মাইক্রোওয়েভ সেন্সর— সবই দেওয়া হয়েছে ঝুরংকে। এই অভিযান সফল হলে প্রথম প্রচেষ্টায় মঙ্গলের মাটিতে রোভার নামানোর শিরোপা যাবে বেজিংয়ের দখলে।