নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
দলীয় ভোটাভুটিতে আনস ভোট পেয়েছেন ৫৭.৬ শতাংশ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মণিকা লেনন পেয়েছেন ৪২.৪ শতাংশ ভোট। দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর আনস বলেন, ‘দেশবাসীর উদ্দেশে আমি সরাসরি বলতে চাই জনগণের বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য লেবার পার্টির অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আমরা যদি আগাগোড়া সৎ হই, তাহলে বুকে হাত রেখে বলতে পারি স্কটিশ লেবার পার্টির জন্য যা যা করণীয় তা হয়নি। দেশজুড়ে যেভাবে বৈষম্য, অবিচার এবং বিভাজন বাড়ছে, সেজন্য আমরাই দায়ী। আর তা দূর করতে দিন-রাত এক করে কাজ করব। আমাদের স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলব।’
কিন্তু, ব্রিটেনের প্রথম সারির দলের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ নেতা নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কী বলবেন? জবাবে আনস বলেন, স্কটল্যান্ড এবং দেশের জনতা কতটা মহান এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ। আনস নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কটল্যান্ডের বিচারপতি তথা স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হামজা ইউসুফ। করোনা মহামারীর জেরে এবারের দলীয় নেতা নির্বাচন জৌলুস হারালেও দেশবাসীর আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কটিশদের স্বাধীনতার দাবি দীর্ঘদিনের। যদিও এই স্বাধীনতার অর্থ দেশভাগ। তাই স্বাধীনতাপন্থীদের সেই দাবি সরিয়ে রেখে করোনা মোকাবিলার উপর গুরুত্ব দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন আনস।
পাকিস্তানি মা-বাবা সন্তান হলেও গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণ করেন আনস। ২০০৫ সালে দন্ত চিকিৎসার সাধারণ ডিগ্রি নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত পাইসলেতে এনএইএস কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কটিশ লেবার দলের সদস্যপদ গ্রহণ করার পর ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত গ্লাসগো সেন্ট্রালের এমপি ছিলেন আনস।