নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
সিনেমায় ডনের খোঁজে সাত দেশের পুলিস চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রিয়েল লাইফে দেশের ২৫ রাজ্যের পুলিস পিছু লেগেও জামতাড়া গ্যাংয়ের অপারেশন বন্ধ করতে ব্যর্থ। মোবাইল চুরি করার পর তা থেকে টাকা লুটের ফন্দিতে সিদ্ধহস্ত এই দেশজুড়ে কুখ্যাত গ্যাংয়ের নজর এবার বাংলার নির্বাচনের দিকে। তারা নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে এমনটা নয়, বিভিন্ন দলের প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত সভায় এদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বিভিন্ন দলের নেতাদের লক্ষ্য থাকে কর্মীদের বিপুল জমায়েত। সেই ভিড়কেই টার্গেট মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ার ছকে রয়েছে জামতাড়া গ্যাং। বাংলার ভোটে কাঠি পড়ার অনেক আগে থেকেই অবশ্য চুরির ছক তৈরি করছে তারা। যার প্রয়োগও সাম্প্রতিককালে রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুরে হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিজেপির দুটি কর্মসূচিতে লুট হয়েছিল বহু মোবাইল। তাই ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই সভা, মিছিলের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রাথমিক সাফল্যের পর আরও পরিকল্পনা মাফিক অপারেশনের ঘুঁটি সাজাচ্ছে গ্যাংয়ের চাঁইরা। মোবাইল ছিনতাইয়ের কাজে নামানো হচ্ছে হাত সাফে পটু লোকাল চোরদের। পরিকল্পনা মাফিক তারাই পকেট খালি করে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে গ্যাংয়ের কিংপিনদের মোবাইল সরবরাহ করবে। সেই মোবাইল কখনও রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়ে, কখনও আবার স্থানীয় কোনও হোটেলে বসে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করার চেষ্টা চালাবে অপরাধীরা। পুরো বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা বাংলার বেশকিছু প্রান্তে নিজেদের ডেরা বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে। এবার কলকাতাতেও ‘সাব সেন্টার’ খোলার ভাবনা রয়েছে জামতাড়া গ্যাংয়ের। তাই প্রিয় নেতার বক্তব্য শোনার পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের নিজের মোবাইলের ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে।
এছাড়া আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মোবাইল ছিনতাইয়ের এক নতুন কৌশল দেখা যাচ্ছে। পথচলতি মানুষ মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকা দ্রুতগতিতে আসা বাইকের পিছনে বসা যুবক সেটি ছিনিয়ে নিয়ে ভোকাট্টা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া রাস্তায় হাঁটার সময় কোনও তরুণী হয়তো মোবাইলে একমনে চ্যাট করছেন, তখন একই কায়দায় মোবাইল ভ্যানিশ করছে চোরেরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের অপরাধে ব্যবহার হচ্ছে নম্বরবিহীন বাইক বা স্কুটি। ফলে পুলিসও তদন্তে বিড়াম্বনায় পড়ছে। সহজে চোরের হদিশ মিলছে না। কিছুদিন আগে ক্যাশভ্যান লুটের ঘটনাতেও নম্বর প্লেট বিহীন বাইক ব্যবহার হয়েছিল। এই ধরনের অপরাধ বাড়তে থাকায় পুলিস ওই ধরনের বাইক ও স্কুটির উপর বাড়তি নজর দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়ও করা হচ্ছে।