সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট। মোটর দুর্ঘটনায় জখম ডায়ানার মৃত্যু হয় হাসপাতালে। তারপর তাঁর শখের জাম্পার ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের অন্যতম দ্রষ্টব্য হয়ে উঠেছিল। এবার আর খালি চোখের দেখা নয়। ঐতিহাসিক এই সোয়েটার ছড়িয়ে পড়বে ঘরে ঘরে। সৌজন্যে বিখ্যাত পোশাক প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড ‘রোয়িং ব্লেজার্স’। চলতি শীতেই ডায়ানার স্মৃতিমাখা জাম্পারকে বাজারজাত করছে তারা। দাম অবশ্য আমআদমির নাগালের বাইরে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার টাকা!
রাজকীয় ঠাঁটবাট নয়। সাধারণ মানুষের রুচি ও রোজকার পোশাক ব্যবহারের ধারাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ঝোঁক ছিল ডায়ানার। বোহেমিয়ান তিনি। প্রেমের দুনিয়ায় বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন সামাজিক বিধিনিষিধকে। পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ছিলেন একইরকম বেপরোয়া। আশির দশকে গায়ে ছাপোষা লাল জাম্পার জড়িয়ে জনসমক্ষে এসে প্রচলিত সংস্কার ভেঙেছিলেন ‘প্রিন্সেস অব ওয়েলস’। ভুঁরু কুঁচকে ছিলেন বিশুদ্ধবাদীদের অনেকেই। রানিসুলভ পোশাক ছেড়ে এ কোন সাজ! যদিও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সেসব তোয়াক্কা করেননি ডায়ানা। এরপর দিন গড়ায়। ওই জাম্পারটিও যুবরানির প্রিয় পোশাকগুলির অন্যতম হয়ে ওঠে। সাদা ও কালো ভেড়ার লোম দিয়ে তৈরি গলাবন্ধ সোয়েটার গায়ে চড়িয়ে বহু অনুষ্ঠানে গিয়েছেন তিনি। ১৯৮৩ সালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিলেত ভ্রমণেও যান ওই একই জাম্পার পরে। এভাবেই ধীরে ধীরে দুনিয়ার অন্যতম ‘আইকনিক’ পরিচ্ছদের খ্যাতি অর্জন করে এই বিশেষ শীতবস্ত্র।
ইতিহাস বলছে, ১৯৭৯ সালে ‘ওয়ার্ম অ্যান্ড ওয়ান্ডারফুল’ নামে একটি ব্র্যান্ড ডায়ানার এই সোয়েটার তৈরির বরাত পায়। ছিমছাম, পরিপাটি ডিজাইনটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। যার জেরে অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংস্থা এই মডেলকে অনুসরণও করতে থাকে। কালের নিয়মে ‘ওয়ার্ম অ্যান্ড ওয়ান্ডারফুল’ হারিয়ে গেলেও এই ঐতিহ্যের স্মৃতি জনতার মনে রয়ে গিয়েছে। তাকেই উস্কে দিতে চাইছে রোয়িং ব্লেজার্স। সম্প্রতি সংস্থাটি তাদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে জাম্পারের ছবি আপলোড করে লিখেছে, ‘ডায়ানা পরিচ্ছিদের দুনিয়ায় মিশ্র রুচির সংস্কৃতি এনেছিলেন। ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন পুরুষ-নারীর পোশাকের বিভাজন। আটের দশকে অন্যতম জনপ্রিয় স্টাইল আইকনকে আমরা সম্মান জানাই।’