সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের আগে কর কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, ব্যবসায় লোকসানের দোহাই দিয়ে তিনি লাগাতার আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন ট্রাম্প। সেই বছর তিনি মাত্র ৭৫০ মার্কিন ডলার কর দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালেও অঙ্কটা ছিল একই। গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর তিনি কোনও আয়করই জমা দেননি বলেও ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়। তার রেশ ধরে মঙ্গলবার ফের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে কর-বাণে বিঁধেছে সংবাদ সংস্থা। বলা হয়েছে, চীনের এই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কোথাও একটি শব্দও উল্লেখ করেননি প্রেসিডেন্ট। অথচ ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলস ম্যানেজমেন্ট সংস্থার হাতে থাকা ওই অ্যাকাউন্টটি থেকে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৬১ মার্কিন ডলার কর দেওয়া হয়েছে। তবে কী কী ব্যবসায়িক লেনদেন হয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কর জমা দেওয়ার সময় বিদেশে আর্থিক লেনদেনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে হয়। অথচ ট্রাম্প তা করেননি। ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলস ম্যানেজমেন্টের দাবি, এই কয়েক বছরে চীনে মাত্র কয়েক হাজার ডলারের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন ট্রাম্প গোষ্ঠীর আইনজীবী অ্যালেন গার্টেন। বলেন, ‘এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কখনও কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন বা চুক্তি হয়নি। ২০১৫ সাল থেকে এই অফিসে কোনও কাজও হয়নি।’
চীন নিয়ে বরাবরই খড়্গহস্ত ট্রাম্প। ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা, কর চাপানোর মতো পদক্ষেপ নিয়ে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। দাবি করেছেন, চীন নিয়ে তিনি অত্যন্ত কঠোর। বরং বেজিং-যোগ রয়েছে বিডেনের। সেই কারণেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে চায় চীন। সম্প্রতি রিপাবলিকান শিবিরের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, নিজের স্বার্থেই এক চীনা ব্যবসায়ীর সঙ্গে হান্টার বিডেন একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ভোটের আগে এই ইস্যুতে ফায়দা তোলার আশায় ছিল। এর মধ্যেই ট্রাম্পের ‘অঘোষিত’ চীনা অ্যাকাউন্টের তথ্য সামনে আসায় অস্বস্তি বেড়েছে রিপাবলিকান শিবিরে। সুযোগ হাতছাড়া করেনি ডেমোক্র্যাটরা। কড়া ভাষায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো শুরু হয়েছে। একদিন পরেই শেষ প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক। বোঝাই যাচ্ছে, ন্যাশভিলের মঞ্চে চীনা অ্যাকাউন্ট ইস্যুতে বিডেনের প্রশ্নবাণ এড়াতে পারবেন না ট্রাম্প। কী জবাব দেবেন তিনি, তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। ট্রাম্পের এক খুদে সমর্থক।-পিটিআই